দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন যে সম্ভব নয়, তা ইতিমধ্যে বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও উপনির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারের পদত্যাগের বিকল্প নেই।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেছেন জোটের নেতারা।
সমাবেশে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে। জনগণ ইতিমধ্যে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। অতীতে একাধিকবার তা প্রমাণিত হয়েছে। যার সর্বশেষ প্রমাণ ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন। সুতরাং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের কোনো বিকল্প নেই।’
সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ রাস্তায় নেমে পড়েছে জানিয়ে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘এদের পতন অতি সন্নিকটে। যেকোনো দিন দেখবেন পদত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেছে। এই সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ এবং নির্বাচন কমিশন ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হতে হবে।’
দেশের জনগণ আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না জানিয়ে ফরহাদ বলেন, ‘এই সরকার আবারও বিএনপিসহ বিরোধী দলকে বাইরে রেখে একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে এ দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বিকল্পধারার মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মন্ডল, জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত প্রমুখ।