হোম > রাজনীতি

দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক ৩ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেক, জুনায়েদ পলক ও মির্জা আজমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তিন মন্ত্রী ও তাঁদের স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলায় দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার প্রথম কর্মদিবসে নেওয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৃথকভাবে এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন—সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক ও তাঁর স্ত্রী শাবানা মালেক, ছেলে রাহাত মালেক, সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ হোসেন পলক ও তাঁর স্ত্রী আরিফা জেসমিন এবং সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও তাঁর স্ত্রী দেওয়ান আলেয়া।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপরই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মামলাগুলো দায়ের করেন।’

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে জাহিদ মালেক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জিত ৬১ কোটি ৪২ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৬ টাকার সম্পদ নিজ ভোগ দখলে রাখেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত তাঁর এই সম্পদ অর্জন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে এবং ৩৪টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে শত কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন করেছেন। এছাড়া, তার ছেলে রাহাত মালেকের নামে ১১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার ১৬১ টাকার সম্পদ বৈধ করেছেন। এই সমস্ত লেনদেন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এসব মামলার বাদি হয়েছেন দুদকের উপপরিচালক ফজলুল হক।

সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ পলকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ২৫টি ব্যাংক হিসাব খুলে ৩২ কোটি ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৪ টাকা জমা করেছেন এবং সেখান থেকে ২৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৫ টাকা উত্তোলন করেছেন। এছাড়া, তার স্ত্রী আরিফা জেসমিনের নামে ২২ কোটি ৩৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৮৯ টাকা জমা এবং অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন।

সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি জামালপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া, তার মেয়ে মির্জা আফিয়া আজম অপির নামে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। মির্জা আজম তার পরিবারের সদস্যদের নামে শত কোটি টাকা হেবা, দান বা বিনিময়ের মাধ্যমে হস্তান্তর ও রূপান্তর করেছেন এবং একাধিক ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।

তারেক আসছেন আজ, অপেক্ষায় নেতা-কর্মীরা

রাত ১২টার সময়ই কানায় কানায় পূর্ণ সংবর্ধনাস্থল

তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ঢাকায় আনবেন ক্যাপ্টেন ইমামুল

বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা

হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করতে না পারার খেসারত দিতে হলো সিয়ামকে: জামায়াত আমির

তারেক রহমানকে বিদায় জানাতে হিথরো বিমানবন্দরে ভিড়

বিএনপি সরকার গঠন করলে গণঅধিকারকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করবে: নুর

তারেক রহমানের জন্য উড়োজাহাজে এ-১ আসন নির্ধারণ

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও যথাসময়ে নির্বাচন চায় এনসিপি-জামায়াত

লন্ডন থেকে রাত সোয়া ১২টায় দেশের পথে রওনা দেবেন তারেক রহমান, বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা