হোম > জাতীয়

প্রথম ডোজ পেতে চাইলে দেখাতে হবে যৌক্তিক কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তির মধ্য দিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বাধীন কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। গত ২০ মাসে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। এখনো বহু মানুষ টিকা নেয়নি। মূলত অনাগ্রহ থেকে এসব মানুষ টিকা নেননি বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।

এ অবস্থায় আজ শনিবার শেষ হয়েছে ১০ দিন ধরে চলা গণটিকাদান কর্মসূচি। সরকার আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, গণটিকার এটিই শেষ ক্যাম্পেইন। এরপর থেকে যৌক্তিক কোনো কারণ প্রদর্শন ছাড়া কাউকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে না, যা আগামীকাল রোববার থেকে কার্যকর হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এখনো যাঁরা কোনো টিকাই নেননি তাঁরা যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে তবেই নিবন্ধনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আর প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে না। যাঁরা ক্যাম্পেইনে টিকা নিয়েছেন, তাঁদের দ্বিতীয় ডোজের টিকার ব্যবস্থা হয়েছে। এক মাস পর তাঁরা নিতে পারবেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল শেষ দফার এই ক্যাম্পেইন। ৩ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে চাহিদা বেশি থাকায় সময়সীমা ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) পর্যন্ত ১ কোটি ৩১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়। এসব টিকার মধ্যে ৮০ ভাগই বুস্টার ডোজ। এই সময়ে সপ্তাহে প্রথম ডোজ নেন গড়ে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ আর দ্বিতীয় ডোজ নেন প্রায় ১৯ লাখ। আর বুস্টার নিয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ মানুষ।

সব মিলিয়ে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ৩১ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছে সরকার। হাতে এখনো ২ কোটি ডোজের মতো মজুত রয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

সরকারের টিকা বিতরণ কর্মসূচির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। গুটি কয়েক ছাড়া সব মানুষই সাড়া দিয়েছে। তাই, আনুষ্ঠানিকভাবে আর কোনো টিকা ক্যাম্পেইন হবে না। কারণ, কর্মসূচি চালাতে প্রচুর লোকবল লাগে। তবে কেউ নিতে চাইলে এত দিন না নেওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে হবে। তবে দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ প্রদান চলবে।’

এদিকে সরকারি ভাষ্যমতে টিকাদান কার্যক্রমে সফলতা এলেও করোনা থেকে এখনো পুরোপুরি মুক্তি মিলছে না। প্রায় প্রতিদিনই গড়ে পাঁচ শতাধিক রোগী শনাক্ত হচ্ছে, মৃত্যুর খবরও আসছে। তবে শুক্রবার পাঁচজনের মৃত্যুর খবর জানানো হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) কেউ মারা যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফলে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৮০ জনই থাকছে।

অন্যদিকে শনাক্ত কমলেও গত এক দিনে বেড়েছে শনাক্তের হার। আগের দিনের চেয়ে প্রায় দেড় গুণ কমে আজ শনিবার ২৯৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির শিকার হয়েছেন ২০ লাখ ২৯ হাজার ৩১৪ জন। আগের দিন শনাক্তের হার ১০ শতাংশ থাকলেও এদিন বেড়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি: ভোটের আগে আতঙ্ক জনমনে

সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে হামলা: শোকে স্তব্ধ নিহত সেনাদের স্বজনেরা লাশের অপেক্ষায়

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে: প্রেস উইং

পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন করবেন না—বিদায়ী ভাষণে বিচারকদের প্রধান বিচারপতি

চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা থাকলেও ভোট নিয়ে শঙ্কা দেখছে না ইসি

হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন আশিক চৌধুরী

রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে পুলিশ

ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের অনুরোধ

ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব