নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের রাজধানীর পূর্বাচলে জলসিঁড়ি আবাসিক প্রকল্পের ১৬২ কাঠার প্লটসহ ৫৩ দলিলের বিভিন্ন স্থানে জমি ক্রোক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর তিনটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এসব নির্দেশ দেন বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ।
দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ এসব জমি ও ব্যাংক হিসাব ক্রোক ও অবরুদ্ধের নির্দেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে নজরুলের প্লট ও জমির মূল্য দেখানো হয়েছে ১৮০ কোটি ৩৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। তিনটি ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ২ লাখ ৩৮৪ টাকা রয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৭৮১ কোটি ১ লাখ ২২ হাজার ৯৫৪ টাকা অর্জন করেছেন। এসব সম্পদ জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তকালে বিভিন্ন সূত্র হতে জানা যায়, আসামির স্থাবর, অস্থাবর সম্পদসমূহ বিক্রি, স্থানান্তর করার চেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির আগে আসামির অবৈধ সম্পত্তিসমূহ হস্তান্তর, স্থানান্তর, বিক্রি হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে। এ অবস্থায় তাঁর স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ নজরুল ইসলামের বাড়ি, প্লট ক্রোক ও ৫৫ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ৯ মার্চ নজরুল ইসলামের যুক্তরাজ্যের পাঁচটি বাড়ি, আইল অফ ম্যান ও জার্সির দুটি বাড়ি ক্রোক এবং বিদেশের একটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সর্বশেষ গত ১৮ জুন নজরুল ইসলামের স্ত্রী নাসরিন ইসলামের দুটি ক্রোক, ৫৪টি কোম্পানির শেয়ার ও দুটি বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। নাসরিন ইসলামের এসব সম্পদের মোট মূল্য প্রায় ৬৩ লাখ।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।