নরসিংদীর হাড়িদোয়া নদীর দখলদার ও দূষণকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক এবং নরসিংদীর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালককে এ তালিকা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নদীতীরবর্তী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দূষণ প্রতিরোধকারী যন্ত্র এবং বর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্র প্রতিস্থাপন ও কার্যকারিতা সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য কমিটি গঠন করতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। নিয়মিত হাড়িদোয়া নদীর পানির গুণগত মান পরীক্ষার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও নরসিংদী জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশ বাস্তবায়ন করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
হাড়িদোয়া নদী দখল ও দূষণ থেকে রক্ষার ব্যর্থতা কেন অসাংবিধানিক, বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগের এক ডিভিশন বেঞ্চ বিবাদীদের ওপর রুল জারি করেছেন। জারিকৃত রুলে উল্লিখিত নদীর সিএস ও আরএস ম্যাপ এবং মূল প্রবাহ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ; সব দখলদার ও ক্ষতিকর স্থাপনা উচ্ছেদ; দূষণের উৎস চিহ্নিত করে দূষণ নিয়ন্ত্রণ, নদীটিকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নদীটি পুনরুদ্ধার, সংরক্ষণ ও রক্ষা করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
বেলার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন।