দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পেছানো নিয়ে দুই রকম কথা বললেন দুই নির্বাচন কমিশনার। ভোটের তারিখ পেছানোর কোনো রকম সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তবে অন্য নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে তফসিল পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সভাকক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ভোটের তারিখ পেছানোর কোনো রকম সম্ভাবনা নেই।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে কি না—জানতে চাইলে এই কমিশনার বলেন, থাকার সম্ভাবনা বেশি।বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি সম্পর্কে রাশেদা সুলতানা বলেন, হরতাল-অবরোধ কে দেবে না দেবে তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ব্যাপারে সজাগ রয়েছে। ভোটের পরিবেশ তৈরি আছে এবং তৈরি থাকবে, তা যেকোনোভাবেই হোক। সংবিধান মেনেই দেশে একটি সুন্দর, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।
ভোটারদের ভয়ভীতি দেখালে শাস্তি পেতে হবে উল্লেখ করে রাশেদা সুলতানা বলেন, আগে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট আদায়ের চেষ্টা করা হতো। সেখানে কোনো শাস্তির বিধান ছিল না। ভোটারদের কোনো রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে তাঁকে শাস্তির আওতায় আনার বিধান করেছে এখনকার নির্বাচন কমিশন। তিনি ভোটারদের রাতের আঁধারে ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে নিকটতম আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর আহ্বান জানান।
তফসিল পুনর্নির্ধারণের সুযোগ রয়েছে
গতকাল সকালে মৌলভীবাজারের সার্কিট হাউস হলে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, একটা বড় দল বিএনপি, নির্বাচনের বাইরে আছে। তারা যদি অংশগ্রহণ করে তাহলে তফসিল পেছানোর সুযোগ রয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে আসার প্রস্তাব এলে বিবেচনায় নেওয়া যাবে। বিএনপি নির্বাচনে এলে তফসিল পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
এই কমিশনার আরও বলেন, ‘ভোটাদের অংশগ্রহণই হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। ভোটে জনগণ যদি যোগদান করেন তবে সেটাই অংশগ্রহণমূলক হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা তো আমার ওপর নির্ভর করে না, যে দল তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরই করে।’