সুগন্ধি মেখে, হরেক রকম পাঞ্জাবি-টুপিতে সেজে রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার প্রথম জামাতে। নানা বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তায় এই জামাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন মূল ইমাম, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান বিকল্প ইমাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার মূল উপস্থাপক, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারি মো. ইসহাক মূল ক্বারি হিসেবে প্রধান দায়িত্ব পালন করেন।
নামাজ শুরুর ১০ মিনিট পরেই শেষ হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। কোরবানি করার তাড়া থাকায় মুসল্লিরা নামাজ শেষ করেই দ্রুত বাড়ির পথ ধরেন। কোরবানির মাংস কাটা, বাছা আবার সেগুলো আত্মীয়সহ অন্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এন্তার কাজ।
রাজধানীর মতিঝিল থেকে জাতীয় ঈদগাহের প্রথম জামাতে নামাজ পড়তে এসেছিলেন হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আজ সব ভুলে ভালোবাসা বিলানোর দিন। পশু কোরবানির মাধ্যমে নিজেদের মনের পশুকে কোরবানি করার দিন। গরিবের হক আদায়ের দিন।’
নামজ শুরুর ১৯ মিনিটের মধ্যে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মুসলিম উম্মাহ, দেশবাসী, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া করে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় প্রথম জামাত।