ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলমান কঠোর লকডাউন ৮ দিনের জন্য আজ বৃহস্পতিবার থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত শিথিল করেছে সরকার। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়েছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্টেশনে যাত্রীরা প্রবেশ করছেন। সকালের দিকে ট্রেনের যাত্রী কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে ৪টা ট্রেন ছেড়ে গেছে কমলাপুর থেকে। ঢাকা থেকে সারা দিনে আজ ২৫টি আন্তনগর এবং নয়টি লোকাল ও কমিউটার ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে সারা দেশে ৩৮ জোড়া আন্তনগর এবং ১৯ জোড়া লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচলও শুরু হয়েছে।
কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'মাস্ক ছাড়া কোন যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিটি ট্রেনেই অর্ধেক যাত্রী বহন করা হচ্ছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই ট্রেনের কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। টিকিট অনলাইনে বিক্রি হওয়াতে কালোবাজারির কোন সুযোগ নেই।'
একই সঙ্গে দূরপাল্লার বাস ও রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাত থেকেই ছেড়ে গেছে দূর-পাল্লার বাস। সকাল থেকে চলাচল শুরু করেছে গণপরিবহন।
এদিকে, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। লঞ্চের ডেকে এবার অর্ধেক আসনে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। ফলে ৬০ শতাংশ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঢাকা নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন পত্রিকাকে বলেন, 'সকাল ৯টা পর্যন্ত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ১২টি লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে প্রতিটি লঞ্চ পরিচালনা করা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কোন যাত্রীদের সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।'
কঠোর লকডাউনের কারণে গত পহেলা জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশের সঙ্গে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছিল সরকার।