ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২ এর ১০ ধারা অনুযায়ী পুলিশ রিপোর্ট আসার পর সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করা হবে।’
আজ সোমবার আসিফ নজরুল তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এ কথা বলেন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচার চালাচ্ছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে মোটরসাইকেল থেকে তাঁর মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।
ওসমান হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ গতকাল রোববার এ আদেশ দেন।
বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদনে বলা হয়েছে, গুপ্তচরের মাধ্যমে সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে,আসামি ফয়সাল করিম যেকোন সময় বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ থেকে স্থল, নৌ ও বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন হয়ে পালানোর সময় তাঁকে আটকের প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে আসামির বিরুদ্ধে বিদেশ গমন রোধ বা নিষেধাজ্ঞা আরোপের আদেশ প্রয়োজন।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, ওসমান হাদির মৃত্যুর রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো এবং কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট সমন্বিতভাবে এই অভিযান পরিচালনা করছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে থানা-পুলিশ ১৩ জন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ৩ জন এবং গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।