কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির তথ্যে বিমানের কানাডাগামী ৪৫ যাত্রীকে অফলোড করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি থেকে জানানো হয় যাত্রীদের আমন্ত্রণপত্রের তথ্যের সঙ্গে থাকার (আবাসন) বিষয়ে সিস্টেমে গরমিল রয়েছে। যাত্রীদের আমন্ত্রণপত্রে হোটেলে থাকার কথা থাকলেও যাত্রীদের কাছে ভাড়া বাসার কাগজপত্র পাওয়া যায়। কানাডিয়ান আইন অনুযায়ী একটি ভাড়া বাসায় ৪৫ জন যাত্রী থাকার কোনো নিয়ম নেই এবং তা আগুন নিয়ন্ত্রণ কোডের লঙ্ঘন বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের কাগজপত্র ও কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির বার্তা পর্যালোচনা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ৪৫ জন যাত্রীকে ৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ টরন্টো ফ্লাইট থেকে অফলোড করা হয়। ঢাকার পাসপোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটের (পিসিইউ) মাধ্যমে উক্ত যাত্রীদের তথ্যাদি সিবিএসএ-এর নিকট প্রেরণ করা হয়েছে এবং সিবিএসএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে উল্লিখিত যাত্রীদের ভিসা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরিত হয়েছে। কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের পর সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের ই-মেইলে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
বিমান আরও জানায়, যাত্রীদের হোটেল অফার করা হলে তারা হোটেলে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। টরন্টো ফ্লাইটে না পাঠানোর বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হলে তারা বিষয়টি অনুধাবন করেন। পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন হতে তাদের বহির্গমন সিল বাতিল করে ব্যাগেজ বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং যাত্রীগণ নিজেদের মত এয়ারপোর্ট ত্যাগ করেন। যাত্রীদের রাতের খাবার ও সকালের নাস্তা সরবরাহ করা হয়।
উল্লেখ্য, যাত্রীর নিকট যথাযথ ডকুমেন্ট না থাকলে বা এ ধরনের ভায়োলেশনের জন্য কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ যাত্রীপ্রতি সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসকে ৩২০০-২০,০০০ কানাডিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করতে পারে।