হজে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশের যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম এখন থেকে যাত্রার আগেই সম্পন্ন করা হবে। এই লক্ষে, সৌদি আরব আজ রোববার বাংলাদেশের সঙ্গে ‘রুট-টু-মক্কা’ শীর্ষক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে রোববার সৌদি স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী ড. নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল দাউদের বৈঠকের পর স্মারকটি স্বাক্ষর হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের জানান, উভয় পক্ষ দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। একটি হল নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি। আরেকটি হল রুট-টু-মক্কা সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট।
সৌদি আরবে অবতরণের পর সে দেশের ইমিগ্রেশনের কাজ বাংলাদেশে সম্পন্ন করেই হজযাত্রীরা উড়োজাহাজে আরোহণ করবেন, এমন ব্যবস্থা করার কথা রুট-টু-মক্কা স্মারকে বলা হয়েছে। আগে পরীক্ষামূলকভাবে এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার আওতায় আনতে স্মারকটি স্বাক্ষর করল দুই দেশ।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি বলেছেন, ২০১৯ সাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে রুট-টু-মক্কা বাস্তবায়ন হচ্ছিল। এখন আনুষ্ঠানিকতা মেনে চুক্তি হলো। এরপর থেকে যারা হজে যাবেন, ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে হবে। সৌদি বিমানবন্দরে নেমে হজযাত্রীরা গাড়িতে উঠে যাবেন। তাদের লাগেজ হোটেল চলে যাবে।
এ ছাড়া, সৌদি আরবে প্রায় ২৭ লাখ ৬০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী বসবাস করেন। তাদের অনেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িত। অনেকে আবার সে দেশে অপরাধের শিকার হয়ে থাকেন। এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর মধ্যে তথ্য আদানপ্রদান সহজ করতে নিরাপত্তা সহযোগিতা করল সৌদি আরব।