হোম > জাতীয়

জাতীয় কবির স্বীকৃতি পাচ্ছেন কাজী নজরুল

শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

কাজী নজরুল ইসলাম

প্রেম ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামকে অবশেষে জাতীয় কবির স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে সরকার। এই স্বীকৃতির পর বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে তাঁর নাম সংবিধানে লেখা হবে।

কাজী নজরুল ইসলামকে দেশের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তার আগে গুরুত্বপূর্ণ এই গেজেটের খসড়া অনুমোদনের জন্য আজ বৃহস্পতিবারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।

১৯৮৭ সাল থেকে কাজী নজরুল ইসলামকে দেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হলেও এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি নেই। শুধু কবি কাজী নজরুল ইনস্টিটিউট আইনে জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম লেখা আছে।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মো. আতাউর রহমান গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আমাদের প্রস্তাব উত্থাপিত হবে। আশা করছি উপদেষ্টা পরিষদ এটি অনুমোদন করবে।’

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের বেশ কিছু খাত সংস্কারে হাত দিয়েছে, এ জন্য কয়েকটি কমিশন কাজ করছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সংবিধান নতুন করে প্রণয়ন বা পুনর্লিখন করা হবে। নতুন সংবিধানের দেশের জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম অন্তর্ভুক্তের বিষয়ে আমরা প্রস্তাব রেখেছি। দেশের জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম সংবিধানে লেখার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।’

সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবীর এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করে গেজেট জারি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০২২ সালের ২০ জুলাই রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

১৮৯৯ সালের ২৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কাজী নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে আনা হয়। এরপর তাঁর বাকি জীবন বাংলাদেশেই কাটে।

বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুলকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধি দেয়। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে কাজী নজরুলকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট মারা যান কাজী নজরুল। মারা যাওয়ার ৪৮ বছর পর তাঁকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসে ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করবে সরকার, বাড়বে সুযোগ-সুবিধা

শেখ হাসিনাকে ফেরতের ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মধ্যরাতে প্রাথমিকের শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত, রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা

ব্যালটের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এসপিরা

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

জিয়া পরিবারের আর কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবে না: রিজওয়ানা হাসান

পোস্টাল ভোট গণনায় সংশোধনী ও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আগামী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন হবে ঐতিহাসিক—নতুন এসপিদের প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, জানাল কাতার সরকার