ভোট কারচুপি, সাজানো ও প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে করার মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) হাবিবুল আউয়ালকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুপুরের দিকে তাঁকে আদালতে হাজির করে শেরে বাংলা নগর থানা-পুলিশ। ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার।
দুপুরে আদালতের হাজতখানায় আনা হয় তাঁকে। বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে তাঁকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। হাবিবুল আউয়ালের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাপলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, হাবিবুল আউয়াল ২০২৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছেন। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার জন্য সাজানো নির্বাচন করেছেন। রাষ্ট্র এবং জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগেও অভিযুক্ত। গ্রেপ্তার আসামি একটিমাত্র দলকে নিয়ে ডামি নির্বাচন সম্পন্ন করে দেশের জনগণের ভোট নষ্ট করে, ভোটের প্রতি জনগণের যে বিশ্বাস তা ভঙ্গ করে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং সাংবিধানিক পদে থেকে শপথ ভঙ্গ করে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করেছেন।
এর আগে গত ২২ জুন সন্ধ্যায় উত্তরা এলাকা থেকে আটক করা হয় সাবেক ইসি কেএম নুরুল হুদাকে। পরদিন তাঁকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় এই মামলায়। আজ রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করার কথা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়নি। আদালতে প্রসিকিউশন দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে আগামীকাল শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।
এর আগে গত ২২ জুন সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মামলাটি করেন। মামলায় সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য, এই মামলা দায়ের করার পর আজ আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা সংযুক্ত করা হয়।