মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত আড়িয়ল বিলে মাটি ভরাট বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আড়িয়ল বিল সুরক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। ওই বিল ভরাট করে তৈরি করা স্থাপনা অপসারণ এবং তা সংরক্ষণের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ আজ বুধবার এই আদেশ দেন।
আদেশে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউকের চেয়ারম্যান, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শ্রীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ দিকে পূর্ত সচিব, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে আড়িয়ল বিলের ২০১০ ও ২০২২ সালের প্রকৃত স্যাটেলাইট এরিয়াল ম্যাপ দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায়। এ ছাড়া আড়িয়ল বিলে আর যেন কেউ মাটি ভরাট ও নির্মাণকাজ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শ্রীনগরের ইউএনও ও পরিবেশের এনফোর্সমেন্ট পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তাঁদের এ বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত।
আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান। এর আগে আড়িয়ল বিলের দখল নিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে তা যুক্ত করে ১৩ আগস্ট রিট আবেদনটি করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।