বগুড়ার শিবগঞ্জে দশম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে সংগঠনটি। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে এ দাবি জানায় তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ত। গত ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জুমার সময় মুষলধারে বৃষ্টি চলাকালে একই এলাকার সাইফুল ইসলাম, নুরুন্নবী রঞ্জু ও নাঈম প্রামাণিকের সহযোগিতায় মেয়েটিকে একা পেয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে ধর্ষণ করে। মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তার শরীরের ওপর কাপড় ও বস্তা রেখে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ডিএইচডিওতে ভর্তি করা হয়। ৩৩ দিনে মেয়েটির শরীরে তিনটি অপারেশন করা হয়। প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ অক্টোবর মেয়েটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকলে একপর্যায়ে রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযুক্তদের পরিবারের স্বজনরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নিহতের পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
মহিলা পরিষদ মনে করে, এলাকার বখাটেদের দৌরাত্ম্যে নারী ও কন্যাশিশুরা ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণের পাশাপাশি নির্মম ও নৃশংস সহিংসতার শিকার হচ্ছে যা তাদের অগ্রযাত্রার পথে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারী ও কন্যারা ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নয়।
বিবৃতিতে নির্যাতনের শিকার নিহত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।