মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিসহ বিভিন্ন সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর ৩৩০ জনের মধ্যে প্রথম ধাপে ১৬৫ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের ইনানীতে অবস্থিত নৌবাহিনীর জেটিঘাট দিয়ে জাহাজে করে তাঁদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।
বেলা ১১টার দিকে যাচাই-বাছাই শেষে ১৬৫ জনকে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনী জেটিঘাট থেকে মিয়ানমারের জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। বাকিদেরও একে একে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। এ সময় সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোয়েও উপস্থিত ছিলেন।
আজ সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে কোস্ট গার্ডের জাহাজে করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুলিশ কর্নেল মিউ তোরা মংয়ের নেতৃত্বে সাত সদস্যের বিজিপি প্রতিনিধিদল নৌবাহিনীর জেটিঘাটে আসেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবীর সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। দুই দেশের প্রতিনিধিদল সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁদের হস্তান্তরের জন্য বৈঠকে বসেন।
এর আগে বিজিবি জানিয়েছিল, মিয়ানমারের জাহাজটি গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের জলসীমায় অবস্থান করছে। ইনানী জেটিঘাট থেকে তাঁদের কর্ণফুলী জাহাজে করে মিয়ানমারের জাহাজে পৌঁছে দেওয়া হবে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এই সংঘাতে টিকতে না পেরে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কয়েক দিনে মিয়ানমারের সেনা, বিজিপি ও সরকারি দপ্তরের ৩৩০ জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তাঁদের নিরস্ত্র করে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।
আশ্রয় নেওয়াদের মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুজন সেনা কর্মকর্তা, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।