সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর পরিবার, সরকার, বিচার বিভাগ ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো বিদেশে অবস্থানরত সাইবার অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা সরকারের হাতে না। তার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে আইন করার প্রয়োজনীয়তা আছে। কিন্তু কোভিডের কারণে সংসদ অধিবেশন বসছে না। তাই সার্চ কমিটি রয়েছে, সার্চ কমিটি দিয়েই আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।’
রাষ্ট্রপতির তত্ত্বাবধানে সার্চ কমিটির মাধ্যমেই এবারের নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হবে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি এটি করছেন, সেহেতু এটি আইনের মতোই। কোভিডের কারণে এত অল্প সময়ের মধ্যে আইন করা সম্ভব নয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে দীর্ঘদিনেও কমিশন গঠন না করার বিষয় জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কমিশন গঠনে উদ্যোগ গ্রহণের পরপরই মহামারি করোনা দেখা দিয়েছে। তাই করোনার দিকে গুরুত্ব দেওয়ায় কমিশনের বিষয়ে সুযোগ হয়নি। তবে কমিশন হবে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিচার প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, কোনো বিচারাধীন বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরাসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চলানা করেন সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।