বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য প্রসিকিউশনের শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আবেদন করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তবে আসামিপক্ষে অভিযোগ গঠন থেকে অব্যাহতির বিষয়ে শুনানির জন্য সময় আবেদন করেন সিনিয়র আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। পরে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করে দেন।
শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। শুনানির সময় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের টেলিফোনে কথোপকথনের রেকর্ড ট্রাইব্যুনালে শোনানো হয়। সেখানে আন্দোলনকারীদের শেষ করে দিতে হবে বলে আনিসুল হক মন্তব্য করেন।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক ছিলেন গ্যাং অব ফোরের সদস্য। আন্দোলন দমনে কোথায়, কীভাবে অপারেশন হবে, কী অস্ত্র ব্যবহার হবে, কীভাবে হত্যা করা হবে, কাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রাখা বা রিমান্ডে নেওয়া হবে —এসব পরিকল্পনা করেছেন আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান। কারফিউ জারির জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শও দিয়েছিলেন তাঁরা। কারফিউ দিয়ে আন্দোলনকারীদের একদম শেষ করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন আনিসুল হক। তাঁরা এই পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীকেও দেন।