জীবনে ব্যস্ততার শেষ নেই। এর মাঝে নিজের ও পরিবারের জন্য সময় বের করতে হয়। সময় বের করে অনেকে ভ্রমণে যায়। ভ্রমণ উপভোগ করতে সুস্থ থাকা চাই। তা না হলে পুরো ভ্রমণ হবে মাটি! অর্থ ও সময়– দুই-ই গচ্চা যাবে, মেজাজ হবে খিটখিটে।
ভ্রমণে গিয়ে সুস্থ থাকায় কিছু নিয়ম মানতে হবে। সেসব বলা যাক:
- খাবেন মনোহর খাদ্য। কিন্তু অল্প অল্প করে, পেট ভরে নয়। সুস্থ থাকার চাবিকাঠি হলো পরিমিতিবোধ। খাবার দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়া যাবে না।
- তবে খাবারদাবারে এক দিন প্রশ্রয় দিতে পারেন—নতুন খাবার, পেটপুরে খেয়ে নিলেন। সমস্যা নেই। পরদিন আবার ফিরে আসুন সবজি আর ফলমূলে, পরিমিত খাবারে।
- পানি পান করুন, সজল থাকুন। এতে পেট ভরবে।
- হোটেলে রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার এবং কক্ষের ফ্রিজের খাবার সাবাড় করার লোভ সংবরণ করুন।
সক্রিয় ও সচল হওয়া যাত্রাপথে
- সময় থাকলে দ্রুত হাঁটুন, যাকে বলে পাওয়ার ওয়াক। এয়ারপোর্ট টার্মিনালে যেতে পারেন হেঁটে।
- বিমানে যাচ্ছেন? হেঁটে যান ডিপারচার গেট পর্যন্ত।
- গাড়ির সিটে বসে দুই হাঁটু ভাঁজ করে নিয়ে আসুন বুকের কাছে কয়েক বার। খানিক ব্যায়াম হয়ে যাবে।
- গাড়ির সিটে বসে ছোট ছোট স্ট্রেচিং করুন। হালকা করে মাথা বা হাঁটু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে স্ট্রেচিং করে নিন।
- বিমানে, বাসে বা ট্রেনে লম্বা যাত্রা হলে আসনের মধ্যবর্তী পথ দিয়ে হাঁটুন আর ওঠবস করুন। কেউ ফিক করে হাসতে পারে, কিন্তু তাতে কী?
পৌঁছে গেলেন যখন
- দ্রুত ওয়ার্ক আউট করে নিন। ওঠবস, জায়গায় দাঁড়িয়ে লাফঝাঁপ ও হাত-পা ছোড়াছুড়ি করে নিন।
- হোটেল পুকুর, অর্থাৎ সুইমিংপুল থাকলে তাতে সাঁতার কাটুন।
- বাইরে যান হাঁটতে। হাঁটতে হাঁটতে আবিষ্কার করুন এলাকাটা।
- সঙ্গের ব্যাকপ্যাকে নিন স্বাস্থ্যকর হালকা খাবার, ফার্স্ট এইড বক্স ও পানির বোতল। ত্বকে মাখুন সান স্ক্রিন আর চোখে পরুন রোদচশমা।
কেন নয় কিছু রোমাঞ্চ অভিজ্ঞতা
আপনার আরামের জায়গা থেকে বেড়িয়ে আসুন। হাইকিং করুন। নইলে হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখুন, যা দেখতে এসেছেন। সুযোগ থাকলে কায়াকিং বা সারফিং রাখুন আপনার কাজকর্মের তালিকায়। বাঞ্জি জাম্প? চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের দিকে খেয়াল রাখুন।
মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখুন
ছুটি মানে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করা, ব্যস্ত থাকা। এতে অনেক সময় চাপ পড়ে শরীর ও মনে। তাই কিছু সময় থাক না কিছু করার জন্য বা বিশ্রামের জন্য। মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যা করবেন:
- প্রতিদিন ধ্যান প্রতিদিন সকালে কিছু সময় করুন ধ্যান। সঙ্গে নিশ্বাসের ব্যায়াম। ১ থেকে ১০ গুনে ধীরে শ্বাস গ্রহণ আর ১ থেকে ১৫ গুনে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন কয়েকবার।সতেজ লাগবে।
- কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সঙ্গের খেরো খাতায় লিখুন ৫টি জিনিস, যার কাছে আর যে জন্য আপনি কৃতজ্ঞ।
- প্রত্যাশা করুন কম ভ্রমণে বেরিয়ে অনেক কিছু করবেন এমন আকাশছোঁয়া আশা করা ঠিক হবে না। যত দূর যেতে পারবেন, তত দূরই যান। তাতেই সুখ, তাতেই আনন্দ।