হোম > জীবনধারা > ভ্রমণ

মাটির নিচের আজব হোটেল

মইনুল হাসান, ফ্রান্স

‘ডিপ স্লিপ’ অর্থাৎ গভীর ঘুম—একটি হোটেলের নাম। এ হোটেলে যাঁরা রাত্রি যাপন করবেন, তাঁদের যে গভীর ঘুম হবে, তা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়। তবে সমস্যা হচ্ছে, এ হোটেলে বসে ঘড়ি ছাড়া রাত কিংবা দিনের পার্থক্য করা যায় না। কারণ, হোটেলটি হচ্ছে দম বন্ধ করা পাতালপুরীতে! অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৩৭৫ ফুট বা ৪১৯ মিটার গভীরে অবস্থিত। আইফেল টাওয়ারের উচ্চতা ১ হাজার ফুট অর্থাৎ ৩০০ মিটারের মতো। হোটেলের গভীরতায় সুউচ্চ আইফেল টাওয়ারও অনেকখানি নিচে চলে যাবে। মাটির এমন গভীরে দ্বিতীয় আর কোনো হোটেল নেই।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে যুক্তরাজ্যের উত্তর ওয়েলসে স্নোডোনিয়া পাহাড়ে বেটস-ই-কোয়েড গ্রামের কাছে কমোরথেন নামক পরিত্যক্ত স্লেট পাথরের খনিটিতে ‘গো বিলো’ কোম্পানি ব্যতিক্রমী এই হোটেল চালু করেছে। এখানে থাকতে অনলাইনে বুকিং করতে হবে। ব্লাইনাই ফেসটিনিওগ শহরের কাছে অবস্থিত গো বিলোওয়ের টানেগ্রিসাই বেস থেকে পাতালপুরীর অভিযাত্রীদের রোমাঞ্চকর যাত্রা শুরু হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাইডরা সেখান থেকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবেন পাতালে। হেলমেট, টর্চ ও বুটে সজ্জিত হয়ে অন্ধকারের রাজ্যে ভ্রমণে সাহসী হতে হবে। ১৪ বছরের নিচে কাউকে সঙ্গে নেওয়া যাবে না।

খনিপথটি কিন্তু গা ছমছম করা কঠিন ও দুর্গম। খনিশ্রমিকদের ব্যবহার করা পুরোনো সিঁড়ি, ক্ষয় হতে থাকা সেতুসহ পথ পেরোতে হবে আপনাকে। খাড়া ও দুরারোহ পরিত্যক্ত খনিপথ অতিক্রম করতে মোটামুটি এক ঘণ্টা সময় লেগে যাবে। অবশেষে ইস্পাতের বড় একটি ফটক জানিয়ে দেবে ‘ডিপ স্লিপে’ পৌঁছে গেছেন আপনি। আর প্রচণ্ড শারীরিক কসরত করে পাতালপুরীর অতিথিশালা ডিপ স্লিপে পৌঁছানোর পর গভীর ঘুম হবে, তা নিশ্চিত।

তবে এক রাতের এমন ঘুমের জন্য আপনাকে কী পরিমাণ অর্থ গুনতে হবে, আগে থেকে তা জানা থাকা ভালো। দুজন থাকার জন্য একটি কেবিনের এক রাতের ভাড়া বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫২ হাজার। দুজনের জন্য একটু বড়, আলাদা সুবিধাসহ বিলাসবহুল কক্ষের জন্য খরচ করতে হবে প্রায় ৮০  হাজার টাকা। এই খরচের মধ্যে সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা আছে। কেউ সঙ্গে করে খাবার নিয়ে যেতে চাইলে নিষেধ নেই। নিষেধ আছে মদ ও ধূমপানে।

মাটির এই গভীরতায় তাপমাত্রা বছরজুড়েই থাকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে হোটেলের কেবিনগুলোর তাপমাত্রা আরামদায়ক উষ্ণ। পানি, বিদ্যুৎ এমনকি এক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি কেবলের মাধ্যমে ওয়াই-ফাই সুবিধাও আছে। শুধু টয়লেট খানিকটা ভিন্ন। তাতেও তেমন কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

মুন ছাড়া হানিমুন করতে চাইলে পৃথিবীর গভীরতম হোটেল ডিপ স্লিপে রয়েছে চমৎকার ব্যবস্থা।

গ্রামের নাম মহিষখোলা

মাধবকুণ্ড ঝরনার পানিতে বিরল ঝরনাপাখি

বাংলাদেশের পর্যটক কমায় ভারতে নিম্নমুখী আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীর সংখ্যা

আকাশে ঘুরে বেড়ানো এক নিঃসঙ্গ বাবার গল্প

হোটেল রুমের পরিচ্ছন্নতা ও শিষ্টাচার

ভ্রমণে এক ব্যাগে সবকিছু রাখলে বিপদ হতে পারে, দেখে নিন কী করবেন

আবুধাবি ভ্রমণের আগে যা জানা জরুরি

২০২৬ সালের জন্য এয়ারবিএনবি-এর পূর্বাভাস

পর্যটকের স্রোতে বিপর্যস্ত শহর

বিমানযাত্রার অলিখিত নিয়মগুলো জেনে নিন