হোম > জীবনধারা > ভ্রমণ

হিমালয়ের রহস্যময় পাঁচ

ভ্রমণ ডেস্ক

হিমালয় শুধু বিশালতার কথাই বলে না; এর ভাঁজে ভাঁজে আছে রোমাঞ্চ আর রহস্যের গল্প। হিমালয়ে এমন অনেক জায়গা আছে, যেগুলো এখনো রহস্যময়। তেমন ৫টি জায়গার তথ্য পাঠকদের জন্য।

রূপকুণ্ড হ্রদ
ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের রোমাঞ্চকর জায়গা রূপকুণ্ড হ্রদ। একে ‘কঙ্কালের হ্রদ’ বলা হয়। এখানে স্বচ্ছ পানির নিচে মানুষের কঙ্কাল দেখা যায়। রূপকুণ্ডে পৌঁছানোর প্রাথমিক উপায় হলো ট্রেকিং। এখানে ভ্রমণের ভালো সময় মে ও জুন এবং বর্ষা-পরবর্তী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস। এই মাসগুলোতে আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকে এবং ট্রেকিং সহজ হয়।

টাইগারস নেস্ট মনাস্ট্রি
ভুটানের একটি খাড়া পাহাড়ের পাশে অবস্থিত বৌদ্ধ মঠ টাইগারস নেস্ট মনাস্ট্রি। এই মঠের কেন্দ্রস্থলে আছে একটি গুহা। বলা হয়, এখানেই গুরু পদ্মসম্ভব তিন বছর তিন মাস তিন সপ্তাহ তিন দিন তিন ঘণ্টা ধ্যান করেছিলেন। বৌদ্ধধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, গুরু পদ্মসম্ভব একটি বাঘের চূড়ায় তিব্বত থেকে এখানে উড়ে এসেছিলেন! এখানে গেলে মঠে প্রবেশ করা যায়। তবে ব্যাকপ্যাক, ফটোগ্রাফির সরঞ্জাম ও জুতা মঠের ভেতরে নেওয়া যায় না। এর যাত্রাপথ বনের ভেতর দিয়ে এবং মঠে পৌঁছানোর জন্য একটি খাড়া রাস্তা পাড়ি দিতে হয়।

এখানে ভ্রমণের ভালো সময় মার্চ থেকে মে এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস।

গাংখার পুয়েনসাম
ভুটানের সর্বোচ্চ পর্বত গাংখার পুয়েনসাম। বিশ্বাস করা হয়, এই সুউচ্চ পর্বতে আত্মারা বসবাস করে। এটি ভুটান ও তিব্বতের সীমান্তে অবস্থিত। তবে এর সঠিক সীমারেখা বিতর্কিত। ভুটান ১৯৮৩ সালে এই পর্বতে আরোহণের অনুমতি দেয়। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে চারটি অভিযাত্রী দল গাংখার পুয়েনসামে আরোহণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ১৯৯৪ সালে সরকার স্থানীয় আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ৬ হাজার মিটারের বেশি উঁচু এ পর্বতে আরোহণ নিষিদ্ধ করে। ২০০৪ সাল থেকে এই পর্বতে আরোহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।

জ্ঞানগঞ্জ
প্রাচীন বিভিন্ন বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, যোগী, গুরু ও ঋষিরা অসাধারণ আধ্যাত্মিক ক্ষমতা আর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। এই জ্ঞানগঞ্জ সেই সব জ্ঞানী মানুষের আবাসস্থল। এটাও বিশ্বাস করা হয়, এখানে প্রাণীরা কোনো না কোনোভাবে অমরত্ব অর্জন করে। এটি হিমালয়ের দুর্গম অঞ্চলগুলোর একটি। এর অবস্থান নিয়েও আছে বিভ্রান্তি।

অনেকে বিশ্বাস করেন, এর অবস্থান নেপালে। আবার কেউ মনে করেন, ভারতের উত্তরাখন্ড, এমনকি হিমাচল প্রদেশ। অধ্যাত্মবাদে বিশ্বাসীরা এখানে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন।

গুরুডংমার হ্রদ
হিমালয়ের ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় আছে গুরুডংমার হ্রদ। এটি হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র জায়গা। সিকিমের মাঙ্গান জেলার উত্তর দিকে তুষার ও পর্বতে ঘেরা এ হ্রদকে আশ্চর্যজনক হ্রদ বলা হয়। জনশ্রুতি আছে, অঞ্চলটি একসময় শুকিয়ে গিয়েছিল। সারা বছর হিমায়িত থাকা এই হ্রদে যেকোনো সময় গেলে একটি ছোট জায়গা পাওয়া যায়, যেটি সক্রিয় থাকে। এ কারণে স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, বৌদ্ধ গুরু ও প্রখ্যাত তান্ত্রিক পদ্মসম্ভব কোনো এক সময় জায়গাটি স্পর্শ করেছিলেন। এই হ্রদে ভ্রমণের উত্তম সময় মার্চ থেকে জুন। এ সময় পরিষ্কার নীল আকাশ আর চারপাশের সবুজ পরিবেশ উপভোগ করা যায়।

২০২৬ সালের জন্য এয়ারবিএনবি-এর পূর্বাভাস

পর্যটকের স্রোতে বিপর্যস্ত শহর

বিমানযাত্রার অলিখিত নিয়মগুলো জেনে নিন

রহস্যময় আগুন পাহাড়

ভিয়েতনামের পর্যটনশিল্প পুনরুদ্ধারের গতি দ্রুত

চীনে বাড়ছে ঘোড়ায় চড়ে ছুটি কাটানোর প্রবণতা

এআই-নির্ভর ভ্রমণে শীর্ষে ভিয়েতনাম

আন্তর্জাতিক পর্যটনে শীর্ষে ব্যাংকক, আকর্ষণীয় শহর প্যারিস

জেনে নিন মালদ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় কখন

নেপালের অদেখা জগৎ