হোম > জীবনধারা > খাবারদাবার

শতবর্ষে বিউটি লাচ্ছি

আমিনুল ইসলাম নাবিল, ঢাকা

রায়সাহেব বাজারের ৩০ / ১ জনসন রোড। পুরান ঢাকার অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা এটি। বিভিন্ন কারণে এর খ্যাতি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম বিউটি লাচ্ছি। ১৯২২ সালে আবদুল আজিজের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে এই বিউটি লাচ্ছি। আবদুল আজিজের পর বংশপরম্পরায় দায়িত্ব পান গফফার মিয়া। তাঁর মৃত্যুর পর বর্তমানে বিউটি লাচ্ছি পরিচালনা করছেন তাঁর ছেলে জাবেদ হোসেন। তিন প্রজন্মের ঐতিহ্যবাহী দোকানটি প্রতিষ্ঠার শতবর্ষে এসেও সুনাম ধরে রেখেছে।

বিউটি লাচ্ছির জনসন রোডের দোকানটি দৈর্ঘ্য-প্রস্থে খুব বড় নয়। অথচ প্রতিদিনই এখানে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। কাঠফাটা রোদ হোক আর বর্ষা কিংবা শরৎ, পথচলতি ক্লান্ত মানুষেরা এখানকার সুস্বাদু লাচ্ছিতে চুমুক দিয়ে তৃষ্ণা মেটান। অনেকে দূরদূরান্ত থেকেও বিউটি লাচ্ছির স্বাদ নিতে ছুটে আসেন। শতবর্ষে এসেও স্বাদে-মানে সেরা বিউটি লাচ্ছিতে আসা কাস্টমাররা জানান, তাঁরা বছরের পর বছর ধরে এখানকার লাচ্ছি পান করছেন। এখানকার লাচ্ছির স্বাদ অতুলনীয়।

বিউটি লাচ্ছির রেসিপি
প্রথাগত ভাবে বিউটির লাচ্ছি তৈরি হয় দই দিয়ে। দইয়ের সঙ্গে চিনির সিরা ও বরফ মিশিয়ে ইচ্ছে মতো ঘুঁটে নিলেই তৈরি লাচ্ছি। ঢাকাই লাচ্ছি তৈরির আরও অনেক রেসিপি আছে।

নাম ‘বিউটি লাচ্ছি’ হলেও এখানে লেবুর শরবত, ফালুদা ও সন্ধ্যার নাশতায় নুডলস পাওয়া যায়। এ ছাড়া শীতকালে স্পেশাল কর্নস্যুপ ও আলুপুরি পাওয়া যায়। এমনটিই জানান দীর্ঘদিন ধরে এখানে কাজ করা আমির হোসেন ইল্লু। তিনি বলেন, ‘এইখানে আমরা যারা কাজেকামে আছি সবতে আত্মীয়-স্বজনই। বাপ-দাদা গইড়া গেছে, সুনাম ধইরা রাখতে আমগো চেষ্টার কমতি নাই।’

প্রতিদিন কী পরিমাণ বেচাবিক্রি হয় জানতে চাইলে আমির হোসেন বলেন, ‘সেটা তো ওইভাবে কওয়া যায় না। কারণ এহন গরম তাই চাহিদা বেশি, বিক্রি বেশি। আবার শীত আইলে শেষ। আর দোকান ছোট তো; ১০-১৫ জন ভিড় করলেই মনে হয় বহুত মানুষ। কামের চেয়ে বাইড়াবাইড়ি বেশি। ইউটিউব-ফেসবুক আয়া আরও মাথা খায়া ফালাইতাছে।’

দোকানমালিক জাবেদ হোসেন অসুস্থ থাকায় তিনি খুব একটা দোকানে আসেন না বলে জানান বিউটি লাচ্ছির ক্যাশিয়ার। তিনি জানান, জাবেদ ভাই অসুস্থ, উনি খুব একটা দোকানে আসেন না।

পুরান ঢাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘গরমের শান্তি এই লাচ্ছি। চুমুক দিলেই কইলজাটা জুড়ায়া আহে। কত দোকান আইল আর গেল, বিউটি লাচ্ছি একদম সেরা। ঢাকাইয়া ঐতিহ্যের লগে মিশা গেছে বিউটি লাচ্ছি।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারেও বিউটি লাচ্ছিতে তুলনামূলক কম দামেই মেলে লাচ্ছি ও ফালুদা। স্পেশাল ফালুদা ১০০ টাকা, সাধারণ ফালুদা ৮০ টাকা, লাচ্ছি ৪০ টাকা, লেবুর শরবত ২০ টাকা।

বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ উঠে আসে আমির হোসেনের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘দোকান চালাইতাছি ঠিকই; কিন্তু আমরা আসলে পোষাইতে পারতাছি না। যেমতে সবকিছুর দাম বাড়তাছে, দোকান চালাইবার মতন অবস্থায় নাই। সব মিলায়া লস। আমরা দাম বাড়াইবার গেলে আবার কাস্টমাররা মানবার চায় না।’

 

যে অভ্যাসগুলো খারাপ নয়, বরং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

বাংলার আদরে গড়া অগ্রহায়ণের পিঠাপুলি

জাপানি কারাআগে কি বিশ্বের সেরা ফ্রায়েড চিকেন

বিশ্বজুড়ে এক কাপ কফির দাম কোথায় কত

শীতের মৌসুমে শরীর উষ্ণ রাখবে ৫ খাবার

খাওয়ার অযোগ্য থেকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা খাবারগুলো

থাইল্যান্ড ভ্রমণে খাবারের মেনু রাখুন স্বাস্থ্যকর

আপনার প্রিয় খাবার যখন পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ

চিনাবাদাম কেন খাবেন

এশিয়ার সেরা ফাইন ডাইনিংয়ে ভিয়েতনামের পাঁচ রেস্তোরাঁ