শাস্ত্রাচার শেষে হরেক রকম খাবারের আয়োজন হবে বাড়িতে। তাহলেই-না উৎসবের আমেজ আসবে। নানা খাবারের ঘ্রাণ ছুটবে হেঁশেল থেকে, তবেই-না পূর্ণতা! লুচি, তরকারি আর মাংস এগুলো থাকবে। কিন্তু একটু স্বাদ বদলও তো করতে হবে। সাধারণ উপকরণ দিয়ে রান্না করেই উৎসবে প্রিয় মানুষের চমকে দিতে হবে। তাতে পূজার আনন্দ বেড়ে যাবে বহুগুণ। আপনাদের জন্য পূজার ভিন্ন ধরনের কয়েকটি খাবারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
জাফরানি মাটন
উপকরণ
খাসির মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুনবাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ টেবিল চামচ, ধনে, জিরা ও গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, জয়ত্রী ২টি করে, চারমগজবাটা অথবা কাজুবাদামবাটা ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, ঘি ১ টেবিল চামচ, গরমমসলাগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি
খাসির মাংস, টক দই, গোলমরিচগুঁড়া, লবণ দিয়ে মাখিয়ে তিন ঘণ্টা মেরিনেট করে ফ্রিজে রেখে দিন। এবার কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, জয়ত্রী, পেঁয়াজকুচি লালচে করে ভাজুন। পরে আদা-রসুন ও কাঁচা মরিচবাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। তাতে মেরিনেট করা মাংস দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। সেদ্ধ হলে টক দই, কাজুবাদাম বা চারমগজবাটা, জাফরানের পানি, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, জিরাগুঁড়া দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। নামানোর আগে ঘি আর গরমমসলাগুঁড়া দিয়ে আবারও নেড়ে কম তাপে রান্না করুন কিছু সময়। তেল ছেড়ে এলে লবণ চেখে নামিয়ে নিন।
নারকেলের কচুরি
ডো তৈরির উপকরণ
ময়দা ২ কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, পানি পরিমাণমতো।
ডো তৈরির উপকরণ
ময়দা ২ কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, পানি পরিমাণমতো।
নারকেলের পুর তৈরিতে যা লাগবে
নারকেল কোরানো ১ কাপ, ভাজা কাজুবাদামগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, গুড় বা চিনি ৪ টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, এলাচি ও দারুচিনি ২ পিস করে।
প্রণালি
ঘি ছাড়া বাকি সব উপকরণ মাখিয়ে রেখে দিন ঘণ্টাখানেক। পরে কড়াইতে ঘি দিয়ে মাখিয়ে রাখা উপকরণ দিয়ে চার-পাঁচ মিনিট রান্না করুন। ব্যস, তৈরি নারিকেলের পুর।
কচুরি তৈরি করবেন যেভাবে
ডো তৈরির সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। পরে নারকেলের পুর ভরে বেলে ডুবো তেলে হালকা বাদামি করে ভাজুন। তৈরি হয়ে গেল নারকেলের কচুরি
আলু ফুলকপি দিয়ে রসা
উপকরণ
ফুলকপি ১টি, আলু ২টি, আদাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ফালি ৩ থেকে ৪টি, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ।
প্রণালি
আলু ও ফুলকপি কেটে-ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে আলু ও ফুলকপি লবণ ও হলুদ দিয়ে মাখিয়ে সামান্য ভেজে নিন। ওই গরম তেলে আদাবাটা, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া, লবণ, চিনি দিয়ে কষিয়ে নিন। এবার ভাজা আলু ও ফুলকপি দিয়ে নেড়ে পানি দিন। ফুটে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও জিরাগুঁড়া, ধনেপাতাকুচি দিয়ে আবারও নেড়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল আলু ফুলকপি দিয়ে রসা।
সেমাই ভরা মিঠাই
উপকরণ
সেমাই ২০০ গ্রাম, চিনি ১ কাপ, সাদা রসগোল্লা ২টি, এলাচি ও দারুচিনি ২টি করে, পেস্তাবাদাম ১ চা-চামচ, কাঠবাদাম ১ টেবিল চামচ, কাজুবাদাম ২ টেবিল চামচ, চমচম ২ থেকে ৩টি, ঘি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি
পাত্রে দুধ ফুটিয়ে চিনি দিন। তারপর আরও কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। সাদা রসগোল্লা কেটে কুচি করে দিন। এবার ঘি, এলাচি ও দারুচিনি দিয়ে নেড়ে একটু ঘন করে নিন। পরিবেশন পাত্রে সেমাই রেখে তার ওপর রান্না করা দুধ দিন। তার ওপরে চমচম টুকরা ও কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদামকুচি দিন। পরে ব্রাউন সুগার দিয়ে সেমাই আধা মিনিটের মতো রেখে পরিবেশন করুন।