হোম > ইসলাম

আজ পবিত্র মক্কা-মদিনায় জুমা পড়াবেন যাঁরা

ইসলাম ডেস্ক 

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজে ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ ড. আবদুর রহমান বিন আবদুল আজিজ আস-সুদাইস। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুআইজান। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।

কে এই শায়খ ড. আবদুর রহমান আস-সুদাইস

মসজিদুল হারামের এ সপ্তাহের জুমার ইমাম শায়খ আবদুর রহমান বিন আবদুল আজিজ আস-সুদাইস বিশ্ব মুসলিমের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও কারি। তিনি শায়খ আস-সুদাইস নামে ব্যাপক পরিচিত। আবেগঘন ও হৃদয়স্পর্শী কোরআন তিলাওয়াতের জন্য বিশ্বজুড়ে তাঁর খ্যাতি রয়েছে। তাঁর তিলাওয়াত শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস ১৯৬০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের আল-কাসিম প্রদেশের আনাজা গোত্রে জন্মগ্রহণ করেছেন। শৈশব থেকেই ইসলামি শিক্ষায় মনোযোগী ছিলেন। আল-মুছানা বিন হারিস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে তাঁর পড়াশোনা শুরু হয়। সেখানেই মাত্র ১২ বছর বয়সে কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন তিনি।

১৯৭৯ সালে রিয়াদের সায়েন্টিফিক ইনস্টিটিউশন থেকে স্নাতক শেষ করেন এবং রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শরিয়াহ বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ইমাম মুহাম্মদ বিন সৌদ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামি মূলনীতিতে মাস্টার্স এবং উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক শরিয়ায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস ১৯৮৪ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে মসজিদুল হারামের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান। ওই বছরের জুলাই মাসে মসজিদুল হারামে প্রথমবার খুতবা প্রদান করেন। এরপর থেকে অনেকবার তারাবির নামাজে ইমামতি করেছেন।

শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইসকে ২০১২ সালে দুই পবিত্র মসজিদ (মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববি) বিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সির প্রেসিডেন্ট করা হয়। ২০১৬ সালে তাঁকে আবারও এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁর নেতৃত্বে এই দুই পবিত্র স্থান ব্যবস্থাপনায় অসাধারণ উন্নতি হয়েছে।

শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস টানা চার দশকের বেশি সময় কাবার ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩ সালে তিনি কাবার ইমাম হিসেবে ৪০ বছর পূর্ণ করেছেন।

অন্যদিকে, মসজিদে নববির এ সপ্তাহের জুমার ইমাম শায়খ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুআইজান সুললিত কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াতের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি।

কে এই শায়খ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুআইজান

তাঁর পুরো নাম আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান বিন সুলাইমান আল-বুআইজান আত-তামিমি। তিনি মসজিদে নববির সম্মানিত ইমাম ও খতিব এবং মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ অনুষদের একজন শিক্ষক। ১৪৩৪ হিজরির ৪ জিলহজ রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে তিনি মসজিদে নববির অফিশিয়াল ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন।

তিনি ১৪২২ হিজরিতে ইমাম মুহাম্মদ বিন সাউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ অনুষদ থেকে স্নাতক (বিএ) ডিগ্রি লাভ করেন। স্নাতক শেষ করার পর ১৪২২ হিজরি থেকে ১৪২৯ হিজরি পর্যন্ত তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৪২৬ হিজরিতে তিনি ‘উচ্চতর বিচার বিভাগীয় ইনস্টিটিউট’ (মাজহাদুল আলি লিল কাজা)-এর ‘সিয়াসাহ শারইয়্যাহ’ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) ডিগ্রি অর্জন করেন।

এরপর তিনি কিং সাউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আল-খারজ প্রদেশের ‘কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ’-এ লেকচারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৪৩৪ হিজরিতে মসজিদে নববির ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় স্থানান্তরিত হন। অতঃপর ১৪৩৭ হিজরিতে ইমাম মুহাম্মদ বিন সাউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিচার বিভাগীয় ইনস্টিটিউট থেকে ‘সিয়াসাহ শারইয়্যাহ’ বিভাগে ‘মুমতাজ’ (এক্সিলেন্ট) গ্রেডসহ ডক্টরেট (পিএইচডি) ডিগ্রি লাভ করেন।

শায়খ আল-বুআইজান ইমাম আসিমের কিরাত অনুযায়ী হাফস রেওয়ায়েতে (শাতোবিইয়াহ্ পদ্ধতিতে) কোরআন তিলাওয়াতের বিশেষ সনদ বা ‘ইজাজাহ্’ লাভ করেছেন। তিনি এই ইজাজাহ্ গ্রহণ করেছেন ইমাম মুহাম্মদ বিন সাউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিরাত শাস্ত্রের অধ্যাপক শায়খ প্রফেসর ড. ইবরাহিম বিন সাইদ আদ-দোসারির কাছ থেকে। এ ছাড়াও তিনি কিং ফাহাদ কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্সের বৈজ্ঞানিক কমিটির সদস্য মরহুম শায়খ আবদুল হাকিম বিন আবদুস সালাম খাতিরের কাছ থেকেও ইজাজাহ্প্রাপ্ত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত ও পবিত্র স্থান। এই দুই মসজিদে নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মসজিদে হারামে এক (ওয়াক্ত) নামাজ এক লাখ নামাজের সমান, আমার মসজিদে (মসজিদে নববি) এক ওয়াক্ত নামাজ এক হাজার (ওয়াক্ত) নামাজের সমান এবং বাইতুল মুকাদ্দাসে এক (ওয়াক্ত) নামাজ ৫০০ নামাজের সমান।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ: ৪/১১)

অন্য হাদিসে ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার (ওয়াক্ত) নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম। (সহিহ্ বুখারি: ১১৯০, সহিহ্ মুসলিম: ১৩৯৪)

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক রজব মাস থেকেই

নতুন বছরে মুমিনের আত্মসমালোচনা

দক্ষিণ ভারতের প্রাচীনতম ৩ মসজিদ

মুসলিম নারীর সৌন্দর্যচর্চায় হালাল নেলপলিশ

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

তারেক রহমানের পোস্টে সুরা আলে ইমরানের ২৬ নম্বর আয়াত

সফর শেষে নিজ দেশে ফিরে যে আমল করতেন নবীজি

অতিথিকে যেভাবে সম্মান করতে বলেছেন নবীজি (সা.)

যেসব দোয়ায় রয়েছে পরকালীন মুক্তি ও অসামান্য সওয়াব

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫