অনেক কাজ আছে, যা মানুষের দৃষ্টিতে খুবই হালকা। তবে প্রকৃতপক্ষে পরকালে আমলের বাটখারায় সেগুলোও মাপা হবে এবং প্রতিদান দেওয়া হবে। ধরুন, আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, পথিমধ্যে একটা ক্ষতিকর বস্তু দেখে তা আপনি সরিয়ে ফেললেন, যাতে কোনো পথচারীর কষ্ট না হয়। এটি ছোট কাজ হলেও অনেক বড় সওয়াব মিলবে এর বিনিময়ে।
হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ইমানের স্তর হলো সত্তরের অধিক। তার সর্বনিম্ন স্তর হলো, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করা এবং সর্বোচ্চ স্তর হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা।’ (তিরমিজি: ২৬১৪; রিয়াদুস সালেহিন: ৬৮৮)
আপনি কি জানেন, মানুষের সঙ্গে ভালো কথা বলাও একটা সদকা? হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘ভালো কথা বলাও সদকাহ।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৬৯৯) ধরুন, পথিমধ্যে কিংবা যানবাহনে অথবা বাসায় আপনার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো, আপনি হাসিমুখে তার সঙ্গে দুটো কথা বললেন, তার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করলেন।
এতেও আপনি সওয়াবের ভাগিদার হবেন। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাকে বললেন, ‘তুমি কোনো ভালো কাজকে তুচ্ছ মনে করো না। যদিও তুমি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করতে পারো।’ অর্থাৎ মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাও একটি ভালো কাজ। (তিরমিজি: ১৮৩৩; রিয়াদুস সালেহিন: ৭০০)
এমন অসংখ্য ভালো কাজ আছে যেগুলো মানুষের দৃষ্টিতে ছোট, তবে আল্লাহর নিকট অতি পছন্দনীয়। তাই ভালো কোনো কাজকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছোট থেকে ছোট যেকোনো কাজ নির্দ্বিধায় করে ফেলা মুমিনের কর্তব্য।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক