ঈদের দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল ঈদের নামাজ আদায় করা। তাই প্রস্তুতি গ্রহণ করে আগে আগে ঈদগাহে চলে যাওয়া উচিত। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে ঈদের জামাত ছুটে গেলে অথবা অংশ বিশেষ না পেলে করণীয় হলো—
কেউ যদি একেবারে শুরু থেকে ঈদের জামাত না পায়, প্রথম রাকাতে ইমামের কিরাত পড়াকালীন সময়ে এসে শরিক হয়—তাহলে প্রথমে তিনি তাকবিরে তাহরিমা এবং অতিরিক্ত তিন তাকবির বলে ইমামের অনুসরণ করবেন। আর কেউ ইমামকে রুকুতে পেলে যদি দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলেও ইমামকে রুকুতে ধরতে পারবে বলে মনে হয়—তাহলে তাই করবে।
আর যদি দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবির বলে ইমামকে রুকুতে পাওয়া যাবে না বলে মনে হয়, তাহলে শুধু তাকবিরে তাহরিমা বলে রুকুতে চলে যাবে। রুকুতে গিয়ে হাত না উঠিয়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবে। এরপর সময় থাকলে রুকুর তাসবিহ আদায় করবে।
যদি কেউ দ্বিতীয় রাকাতে ইমামের সঙ্গে শরিক হয় তাহলে ইমাম সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে প্রথমে সুরা-কেরাত পড়বে এবং রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবে। অর্থাৎ ছুটে যাওয়া প্রথম রাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাতের মতো রুকুর আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবে।
আর কেউ যদি দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর পর বা তাশাহুদের পর ঈদের জামাতে শরিক হয়, তাহলে ইমামের সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে সুরা–কেরাতের আগেই অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবে। আর দ্বিতীয় রাকাতের কেরাতের পর অতিরিক্ত তাকবির বলে নামাজ শেষ করবে।
ঈদের নামাজ কারও পুরোপুরি ছুটে গেলে আশপাশের অন্য কোনো জামাতে শরিক হওয়ার চেষ্টা করবে। পরিশেষে যদি নামাজ ছুটেই যায়, তাহলে এর কোনো কাজা নেই। এমন হলে তওবা-ইস্তিগফার করবে। পাশাপাশি চার রাকাত ইশরাকের নফল নামাজ আদায় করে নেবে। তাতে ঈদের নামাজের মতো অতিরিক্ত তাকবির দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তথ্যসূত্র: মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৫৭১৪, বাহরুর রায়েক: ১ / ১৬১, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৫৮১৩, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১ / ১৮৫, ফাতাওয়া শামি: ১ / ৫৬১, বাদায়েউস সানায়ে: ১ / ২৭৯