হোম > ইসলাম

বদলি হজ কাকে বলে, বিধান কী

ইসলাম ডেস্ক 

ছবি: সংগৃহীত

আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান এবং শারীরিকভাবে সক্ষম ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ। ফরজ হজ যত দ্রুত সম্ভব আদায় করতে হয়। প্রিয় নবী (সা.) এমনটিই নির্দেশ দিয়েছেন।

বদলি হজ কী?

তবে কোনো ধনি ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি, এখন স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারছেন না—তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’

সহজে বললে, বদলি হজ হলো একজনের বদলে অন্যজন হজ করা; যেমন অসুস্থ ব্যক্তি নিজ খরচে অন্য কাউকে নিয়োগ করবেন, যিনি তাঁর পক্ষ থেকে হজের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। তা করতে না পারলে মৃত্যুর সময় বদলি হজের অসিয়ত করে যাওয়া আবশ্যক।

একবার এক নারী মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার বাবার হজ ফরজ হয়েছে, কিন্তু বুড়ো হয়ে যাওয়ায় তিনি স্থির হয়ে বসতেই পারেন না, এখন আমি তাঁর পক্ষে হজ করতে পারব?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৫১৩)

কাকে দিয়ে বদলি হজ করাবেন

হজ করেছেন এমন নেককার ব্যক্তিকেই বদলি হজের জন্য পাঠানো উচিত। হজ করেননি এমন ব্যক্তিকে পাঠানোও বৈধ। তবে হজ ফরজই হয়নি এমন ব্যক্তিকে পাঠানো মাকরুহে তানজিহি। আর হজ ফরজ হয়েও আদায় করেননি এমন ব্যক্তিকে পাঠানো মাকরুহ তাহরিমি তথা নাজায়েজ। তবে এমন কাউকে পাঠালেও হজ আদায় হয়ে যাবে। আর যাঁর পক্ষ থেকে হজ পালন করা হচ্ছে, তাঁর দেশ থেকে বদলি হজকারীর হজের সফর শুরু করতে হবে।

বদলি হজের বিধান

একজন বিশ্বস্ত এবং ফরজ হজ আদায়কারী ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তির সম্পদ থেকে এই হজের যাবতীয় খরচ প্রদান করতে হবে। প্রেরিত ব্যক্তি হজের ইহরাম বাঁধার সময় স্পষ্টভাবে নিয়ত করবেন—এটি অমুকের পক্ষ থেকে আদায় করছেন।

বদলি হজ করানোর পরে সেই অসুস্থ ব্যক্তি যদি সুস্থ হয়ে যান, সম্পদ থাকে এবং হজে যাওয়ার সক্ষমতা ফিরে পান, তবে তাঁর ওপর আবার নিজে সশরীরে হজ আদায় করা আবশ্যক হবে। কারণ, ফরজ হজ ব্যক্তি নিজে আদায় করাই মূল, আর বদলি হজ তখনই চূড়ান্ত হয়ে যায়, যখন অক্ষমতা চিরস্থায়ী হয়। সুস্থতা ফিরে এলে সেই দায়িত্ব নিজে পূর্ণ করতে হবে।

তাই বদলি হজের ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা হচ্ছে, যদি অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে বদলি হজ করানোর জন্য তাড়াহুড়ো করবেন না, বরং সুস্থ হওয়ার অপেক্ষা করবেন। এরপর সুস্থ হলে নিজে সশরীরে গিয়ে হজ করে আসবেন। আর সুস্থ না হলে মৃত্যুর পূর্বে তাঁর সম্পদ থেকে বদলি হজ করানোর অসিয়ত করে যাবেন। এরপর ওয়ারিশগণ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি খরচ করে কোনো বিশ্বস্ত ব্যক্তির মাধ্যমে বদলি হজ করিয়ে নেবেন। এটা তাঁদের ওপর আবশ্যক। (বাদায়েয়ুস সানায়ে: ২ / ১২৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ২২৪)

বদলি হজের বিনিময়ে মজুরি নেওয়া নাজায়েজ। কারণ ইবাদতের বিনিময়ে কোনো মজুরি নেওয়া যায় না। কেউ দিলে এবং নিলে দুজনেই গুনাহগার হবেন। হজের জন্য প্রয়োজনীয় খরচের বাইরে কোনো ধরনের লেনদেন করা যাবে না।

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

শীতকালে অজুতে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা

আজ পবিত্র মক্কা-মদিনায় জুমা পড়াবেন যাঁরা

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক রজব মাস থেকেই

নতুন বছরে মুমিনের আত্মসমালোচনা

দক্ষিণ ভারতের প্রাচীনতম ৩ মসজিদ

মুসলিম নারীর সৌন্দর্যচর্চায় হালাল নেলপলিশ

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

তারেক রহমানের পোস্টে সুরা আলে ইমরানের ২৬ নম্বর আয়াত

সফর শেষে নিজ দেশে ফিরে যে আমল করতেন নবীজি