হোম > ইসলাম

বিপদের দুই আমল—ধৈর্য ও নামাজ

আবরার নাঈম, মুহাদ্দিস

ছবি: সংগৃহীত

সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, বিপদাপদ—এসব আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আল্লাহ তাআলা মাঝেমধ্যে আমাদের পরীক্ষা করেন। জানমাল, ধনসম্পদের ক্ষতি কিংবা অন্য কোনো বিপদাপদ দিয়ে। তিনি দেখেন বিপদে পড়ে বান্দা আল্লাহকে স্মরণ করে, নাকি অধৈর্য হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা এবং ধনসম্পদ, জানমাল ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা। আপনি সুসংবাদ দেন ধৈর্যশীলদের।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫)

ছোট-বড় যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে মুমিনের আশ্রয় হবে দুটি—সবর ও নামাজ। নবী (সা.) তাই করতেন। সাহাবি ও তৎপরবর্তী বুজুর্গদের আমলও ছিল অনুরূপ। আমাদেরও উচিত বিপদে সবর করা এবং নামাজে নিমগ্ন হওয়া। এটিই কোরআনের নির্দেশ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩)

কোনো বালা-মসিবত এলে শুরুতেই আমরা ভেঙে পড়ি। হাপিত্যেশ করি। বুক চাপড়ে বিলাপ আর কান্না করি। এ সময় ধৈর্য হারিয়ে এমন সব শব্দ মুখে উচ্চারণ করি, যা অতি জঘন্য। কেউ কেউ তো সরাসরি আল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বসে। অনেকে তো এভাবেও বলে, আল্লাহ কি শুধু আমাকেই দেখে? শেষে কোনো উপায়ান্তর না দেখে সবর করে। এটা প্রকৃত সবর নয়। প্রকৃত সবর হলো আগত বিপদের শুরুতেই তা করতে হবে। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘বিপদের প্রথম অবস্থায়ই প্রকৃত সবর।’ (সহিহ বুখারি: ১৩০২)

আবরার নাঈম, মুহাদ্দিস, জামিয়া ইমাম আবু হানিফা (রহ.), ঢাকা

জমাদিউস সানির দ্বিতীয় জুমা: মুমিনের করণীয়

মসজিদগুলো হয়ে উঠুক শিশুবান্ধব

ফুটপাতে পথশিশুদের হিমশীতল রাত

ফরজ গোসলের সময় নারীদের চুল ধোয়ার বিধান

শায়খ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামার হারিয়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়

আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

দাওয়াতুল হকের মারকাজি ইজতেমা শনিবার

একের পর এক ভূমিকম্প মুমিনকে যে সতর্কবার্তা দিয়ে যাচ্ছে

স্ত্রীর সঙ্গে ভালোবাসার গভীরতা বাড়াবে যে সুন্নাহ

আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫