অল্পতেই পরিতৃপ্ত ও হাসিখুশি থাকা মুমিনদের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মুমিনরা পার্থিব ব্যাপারে নিজের ভাগ্য ও ভাগ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন। তাঁদের ভেতরে লোভ-লালসা থাকে না। অতিরিক্ত বিষয়াসক্তি তাঁদের অসৎ পথে নামায় না। ধনী না হলেও তাঁদের হৃদয়-মনে ধনশালিতা থাকে, যা পান তাতেই তুষ্ট হন। অন্যের ভোগ্যসামগ্রীর ওপর অধিকার লাভের বাসনা থাকে না।
অল্পে তুষ্ট থাকার অনেক উপকারিতা রয়েছে। অল্পে তুষ্ট থাকা লোক সম্মানের জীবনযাপন করেন। রাসুল (সা.) অল্পে তুষ্ট থাকা লোকদের সবচেয়ে বড় সফলকাম, ধনী ও কৃতজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তির ইসলাম কবুল করার সৌভাগ্য হয়েছে, যাকে প্রয়োজন পরিমাণ রিজিক দেওয়া হয়েছে এবং আল্লাহ তাআলা তাকে যে সম্পদ দিয়েছেন এর ওপর পরিতৃপ্ত হওয়ারও শক্তি দিয়েছেন, সে-ই (জীবনে) সফলতা লাভ করেছে।’ (মুসলিম)
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের চেয়ে কম সম্পদশালী মানুষদের প্রতি (পার্থিব ব্যাপারে) দৃষ্টি দিও, তোমাদের চেয়ে ধনশালী মানুষদের দিকে নয়। এতে করে তোমাদেরকে আল্লাহ তাআলার দেওয়া নেয়ামতসমূহ নগণ্য মনে হবে না।’ (তিরমিজি)
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিষিদ্ধ ও হারাম জিনিস থেকে বেঁচে থাকো, তাহলে তুমি মানুষের মধ্যে সব চেয়ে বড় আবেদ (ইবাদতকারী) গণ্য হবে। আল্লাহ যা তোমাকে দিয়েছেন, তাতেই পরিতুষ্ট থাকো, তবে তুমিই মানুষের মধ্যে সব চেয়ে বড় ধনী হবে। প্রতিবেশীর প্রতি অনুগ্রহ করো, তাহলে তুমি একজন (খাঁটি) মুমিন বিবেচিত হবে। মানুষের জন্যও তা-ই পছন্দ করো, যা তুমি নিজের জন্য পছন্দ করো, তাহলে তুমি একজন (খাঁটি) মুসলিম গণ্য হবে। আর খুব বেশি হাসবে না। কারণ বেশি হাসি অন্তরকে মেরে ফেলে।’ (তিরমিজি)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক