সুন্দর আর সুবিন্যস্ত জীবনে ভয়াবহ এক অধ্যায় নেমে আসতে পারে বদনজরের কারণে। বদনজর আমাদের সমাজে পরিচিত একটি শব্দ। সাধারণত হিংসুকের দৃষ্টির প্রভাবে ব্যক্তি বা বস্তুর যে ক্ষতি হয়, তাকে বদনজর বলা হয়। ইসলামে বদনজরের অস্তিত্বের উল্লেখ আছে এবং তা থেকে বাঁচতে দোয়া ও আমলেরও উল্লেখ আছে।
আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বদনজর থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও। কেননা, বদনজর সত্য।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৫০৮)
বদনজর থেকে বাঁচতে হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা বলা হয়েছে, সেখান থেকে তিনটি আমলের কথা উল্লেখ করা যায়—
১. আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইব (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করবে। এতে সবকিছুর ক্ষেত্রে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (জামে তিরমিজি: ৩৫৭৫)
২. উসমান ইবনে আফফান (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার এই দোয়া পাঠ করবে, কোনো কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না। দোয়াটি হলো—‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম।’ অর্থ: ‘আল্লাহ তাআলার নামে, যার নামের বরকতে আকাশ ও মাটির কোনো কিছুই কোনো অনিষ্ট করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০৮৮, জামে তিরমিজি: ৩৩৮৮)
৩. আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) হাসান ও হুসাইনকে এই দোয়া পড়ে ফুঁ দিতেন আর বলতেন—তোমাদের পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.) এই দোয়ার মাধ্যমে (ইসমাইল ও ইসহাক)-কে ঝাড়ফুঁক করতেন। দোয়াটি হলো—আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাহ ওয়ামিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।’ অর্থ: ‘আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার দ্বারা সব শয়তান, বিষধর জন্তু ও কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় চাইছি।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩১৩২)