হোম > ইসলাম

যে চার গুণ থাকলে বুঝবেন আপনি সৌভাগ্যবান

মুফতি আইয়ুব নাদীম 

প্রতীকী ছবি

সৌভাগ্যবান হতে কে না চায়? কিন্তু কীভাবে, কী করলে, কোন গুণ অর্জন করলে সৌভাগ্যবান হওয়া যায়—তা অধিকাংশ মানুষই জানে না। সে কারণে সেই সৌভাগ্য জীবন অধিকাংশের কাছেই অধরা থেকে যায়। নানা বিষাদ জীবন বিষিয়ে তুলে।

ইসলাম মানুষের জীবনে সুখ ও সৌভাগ্যের পরশ মেলাতে বেশ কিছু গুণের কথা বলেছে। যারা যাপিত জীবনে সেই গুণ ধারণ করতে পারবে, তারাই সুখী ও সৌভাগ্যবান হবে।

এক. কৃতজ্ঞ অন্তর

কৃতজ্ঞ অন্তর মানে হলো যে হৃদয় আল্লাহ তাআলার দেওয়া নিয়ামত পেয়ে কৃতজ্ঞতা আদায় করে। সেই অন্তরের মানুষ সৌভাগ্যবান ও সুখী হয়ে থাকে। কৃতজ্ঞতা মুমিনের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। পরকালীন সমৃদ্ধির পাশাপাশি দুনিয়ার জীবনেও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আরও অধিক পরিমাণ নিয়ামত লাভের মাধ্যম এ কৃতজ্ঞতা। আর আখিরাতের অসীম পুরস্কারের ঘোষণা তো আছেই।

একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘খেয়ে যে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করে, সে ধৈর্যশীল রোজাদার ব্যক্তির সমান পুরস্কার লাভ করবে।’ (সুনানে ইবনে মাজা: ১৭৬৫)

দুই. আল্লাহর জিকিরে সজীব জবান

জিকির আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম মাধ্যম। জিকিরে প্রশান্তি লাভ হয়। জিকিরে বান্দার আমলনামা ভারী হয়। তাই মুমিনের উচিত, জিকিরের মাধ্যমে জিহ্বাকে তাজা রাখা।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে বেশি পছন্দনীয় কালাম চারটি—১. সুবহানাল্লাহ (আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি), ২. আলহামদুলিল্লাহ (যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর), ৩. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই), এবং ৪. আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ)। এগুলোর যেকোনো শব্দ দ্বারা তুমি আরম্ভ করো, এতে তোমার কোনো ক্ষতি নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৫৪৯৪)

তিন. বিপদ-আপদে ধৈর্য ধরা:

একজন সফল ও সৌভাগ্যবান মানুষের অন্যতম গুণ হলো, নানা ধরনের বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করা। কারণ প্রতিটি মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরনের বিপদ আসে। কখনো রোগ-শোক। কখনো অর্থ-কষ্টে জর্জরিত হয় জীবন। বিপদ যেমনই আসুক, যেভাবেই আসুক মুমিন ধৈর্য ধারণ করবে।

কারণ, মুমিন যদি বিপদে ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ এর বিনিময় দান করেন এবং এর গুনাহ মাফ করেন। এমনকি শরীরে কাঁটা ফুটলেও এর বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা গুনাহ মাফ করেন।

হজরত সায়েব ইবনে খাল্লাদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন যে ধরনের বিপদেই আক্রান্ত হোক না কেন, এমনকি কাঁটা ফুটলেও এর বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা একটি নেকি লেখেন অথবা একটি গুনাহ মাফ করে দেন।’ (মুসনাদে আহমাদ: ১৬৫৬০)

চার. ধর্মপরায়ণ স্ত্রী

সৌভাগ্য ও সুখী মানুষের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো, দুনিয়ার জীবনে স্বামীর জন্য একজন সৎ ও ধর্মপরায়ণ স্ত্রী লাভ হওয়া। কারণ একজন নেককার স্ত্রী স্বামীর জন্য রহমত ও অনেক বড় নিয়ামত। একজন সৎ, ধার্মিক, বুদ্ধিমতী ও সহযোগী স্ত্রী হলো মানুষের পার্থিব জীবনে সবচেয়ে বড় ও মূল্যবান নিয়ামত বা সম্পদ।

এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পার্থিব জগৎটাই হলো ক্ষণিক উপভোগের বস্তু। আর পার্থিব জগতের সর্বোত্তম উপহার সৎ স্ত্রী। (সহিহ্ মুসলিম: ১৪৬৭)

লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলূম মাদ্রাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল

প্রিয়জনের মৃত্যুতে শোক পালনে ইসলামের নির্দেশনা

ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থরক্ষায় খালেদা জিয়ার অনন্য কিছু উদ্যোগ

কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে যে দোয়া পড়বেন

শীতকালে কখন তায়াম্মুম করা যাবে, কখন যাবে না

আজকের নামাজের সময়সূচি: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

মক্কা-মদিনায় এক মাসে প্রায় ৭ কোটি মুসল্লির সমাগম

যাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের সতর্কবার্তা

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

গাজায় ৫০০ কোরআনের হাফেজকে রাজকীয় সংবর্ধনা

তাবলিগ জামাতের খুরুজের জোড় শুরু ২ জানুয়ারি