বিয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য একটি আদর্শ পরিবার গঠন। যে পরিবারের সদস্যরা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর আদেশগুলো পালন করবে, নিষেধসমূহ থেকে বেঁচে থাকবে। ফলে এই পরিবারের সকল সদস্য দেশ, ধর্ম, মানবতা ও সমাজের কল্যাণে কাজ করবে। আদর্শ পরিবার গঠনে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত কয়েকটি বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো—
আদর্শ স্ত্রী নির্বাচন করা। কারণ, স্ত্রী আদর্শবান না হলে সন্তানেরা আদর্শবান হয় না। (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০) খ. পরিবারে বিশুদ্ধ দ্বীনের চর্চা করা। দ্বীনের বিশুদ্ধ চর্চা না থাকলে সবকিছু হয় এলোপাতাড়ি। যাচ্ছেতাই জীবন মুমিনের কাম্য নয়। (সুরা ইউনুস: ৮৭) গ. ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিত করা। কোরআন-সুন্নাহর এতটুকু জ্ঞান অর্জন করা ফরজ, যতটুকু জানলে দ্বীন মানা সহজ হয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২২৪) ঘ. পরিবারে পারস্পরিক জবাবদিহির মনোভাব তৈরি করা। জবাবদিহির মনোভাব না থাকলে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা হয় না। ফলে সংসারে দ্বন্দ্ব-কলহ তৈরি হয়। (সুরা শুআরা: ২১৪) ঙ. পাপ ও পাপের সব উপকরণ মুক্ত হওয়া। এতে পাপের আসক্তি কমে এবং সৎ কাজের সুযোগ তৈরি হয়। (সহিহ্ বুখারি: ২১০১; আল আখলাকুল ইসলামিয়্যাহ ও আসাসুহা: ১ / ৩৮) চ. সময়ের শৃঙ্খলে থাকা। সময়মতো কাজ করলে কাজে বরকত হয় এবং কোনো পেরেশান থাকে না। (সুরা বাকারা: ২৩৮; জামে তিরমিজি: ২৪১৭)
ছ. নিজেদের অভ্যন্তরীণ গোপনীয়তা রক্ষা করা—দাম্পত্যজীবনের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য এটি জরুরি। (সুরা নিসা: ৩৫; সহিহ্ মুসলিম: ১৪৩৭)
জ. পরস্পর একজন আরেকজনকে সাহায্য-সহযোগিতা করা। এতে সাংসারজীবনে সুখ আসে। (মুসনাদে আহমদ: ১৫৯৩)
ঝ. পর্দা ও শালীনতা বজায় রাখা এবং অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা থেকে বেঁচে থাকা। (সুরা আহজাব: ৩৩)