শেষ মুহূর্তে হজযাত্রীদের কয়েকটি প্রস্তুতির কথা তুলে ধরা হলো—
সফরে বের হওয়ার আগেই নিয়তের বিশুদ্ধতা যাচাই করে নেওয়া চাই। কোনো ধরনের পার্থিব আকাঙ্ক্ষা, খ্যাতি ও সামাজিক মর্যাদা লাভের আশা নিয়ে হজে যাওয়া উচিত হবে না।
পুরো সফরে আল্লাহর ইবাদত করার জন্য এখন থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে।
হজে বিভিন্ন দেশ, বর্ণ ও ভাষার মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। সবার প্রতি সুন্দর, মার্জিত ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করা একজন মুমিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হজের বিধিবিধান সম্পর্কে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নতগুলো ভালোভাবে আত্মস্থ করতে হবে।
বিশেষ করে হজে যেসব কারণে দম বা জরিমানা দিতে হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে এবং তা থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকতে হবে।
সফরে বের হওয়ার আগেই পরিবারের যাবতীয় খরচ দিয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া পাওনাদারদের পাওনা এবং কর্মক্ষেত্র বা অন্যান্য দায়িত্ব হিসাবনিকাশ ও কর্তব্যগুলো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
শারীরিক সুস্থতার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় মেডিকেল চেকআপ করানো, টিকা নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সঙ্গে নেওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হজ এজেন্সিগুলোর নির্দেশনা অনুযায়ী একটি চেকলিস্ট বানিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকেই গোছগাছ করে ফেলা উচিত।