হোম > ইসলাম

যেভাবে বুঝবেন আপনার ওপর হজ ফরজ

ইসলাম ডেস্ক 

হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।

কোনো মুসলমান যদি স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, বিবেকসম্পন্ন, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হয় এবং তার হজে যাতায়াতের রাস্তা নিরাপদ থাকে, তাকে হজ পালন করতে হবে। তার ওপর জীবনে একবার হজ আদায় করা ফরজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হজ একবার। যে একাধিকবার করবে, তা তার জন্য নফল হবে’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৮৬)। তবে নারীদের ক্ষেত্রে সঙ্গে যাওয়ার মতো মাহরাম (যেসব পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ) থাকতে হবে।

শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়ার মানে হলো, মক্কায় গিয়ে হজের বিধান পালনের মতো সুস্থ থাকতে হবে। পাশাপাশি নিজের মৌলিক খরচ ছাড়া হজের মৌসুমে মক্কায় যাওয়া-আসা-থাকার একান্ত প্রয়োজনীয় খরচ এবং এ সময়ে পরিবারের ভরণপোষণের প্রয়োজনীয় খরচ জমা থাকতে হবে। কারও ওপর জাকাত ফরজ না হলেও তার ওপর হজ ফরজ হতে পারে। কারণ, হজ ও জাকাতের মধ্যে মৌলিক একটি পার্থক্য রয়েছে। হজ ও জাকাতের মধ্যে পার্থক্য হলো—জাকাতের সম্পর্ক নির্ধারিত নেসাবের সঙ্গে। আর হজের সম্পর্ক মক্কায় আসা-যাওয়া-থাকার খরচের সঙ্গে। সুতরাং স্থাবর সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে কেউ যদি হজ করতে সক্ষম হয় এবং হজ থেকে ফিরে এসে বাকি সম্পত্তি দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, তাহলে তার ওপর হজ ফরজ। (ইমদাদুল আহকাম ২/১৫২; আহসানুল ফাতাওয়া ৪/৫১৬)

তবে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধ প্রাধান্য পাবে। ঋণ থাকলে এবং যে টাকা জমা আছে, তা দিয়ে ঋণ ও হজ দুটিই আদায় করতে না পারলে, হজ ফরজ হবে না।

প্রস্রাবের চাপ নিয়ে নামাজ আদায়ের বিধান

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ

শীতকালে মুমিনের আত্মিক শিক্ষা ও নৈতিক দায়িত্ব

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

নূরানী বোর্ডের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৯০.৩৬

যে মাদ্রাসায় বেড়ে উঠেছিলেন ওসমান হাদি

জানাজা ও দাফনে অংশ নিলে যে সওয়াব

জান্নাতে যেমন হবে শহীদের জীবন

মুনাফিকের আলামত ও মুমিনের গুণ