বিশ্বের অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সঙ্গে মিনায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশের হজযাত্রীরাও। বাংলাদেশি হজযাত্রীদের হজ ব্যবস্থাপনা তদারকির দলনেতা ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিকও এখন মিনায় অবস্থান করছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
৮ জিলহজ মিনায় আগমনের মাধ্যমেই শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। সৌদি সরকারের নির্দেশনায় গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে হাজিরা মিনায় আসতে শুরু করেন। হাজিদের আগমন নির্বিঘ্ন করতেই এ রকম নির্দেশনা জারি করে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। মিনার বিস্তীর্ণ প্রান্তর এখন ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত। বিত্তবৈভব, কামনা-বাসনাকে পরিত্যাগ করে হাজিরা আল্লাহর সান্নিধ্য ও ক্ষমাপ্রত্যাশী। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় হাজিদের মন ব্যাকুল। তাঁরা পাপতাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান।
হাজিদের পরিধেয় সেলাইবিহীন শুভ্র দুই টুকরা কাপড়। আজ তাঁরা ধনসম্পত্তির জন্য লালায়িত নন মোটেও। তাঁরা আল্লাহর অনুগ্রহ পেতে চান। তাঁরা আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে পরিশুদ্ধ হতে চান। সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর মতো নিষ্পাপ হতে চান।
মিনা থেকে আজ বুধবার রাতে আরাফাতে রওনা হবেন হাজিরা। ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য আগেভাগেই হাজিদের আরাফাতে নিতে বলেছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। আগামীকাল ৯ জিলহজ সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার পর থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার আগে কিছু সময় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। এরপর হাজিরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে হাজিরা মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন এবং মুজদালিফায় রাত্রি যাপন করবেন।
এ বছর সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ১৪ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে এসেছেন। স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এই সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ হতে পারে। এর মধ্যে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৫৮ জন।