পবিত্র কোরআনে সফল মুমিনের যেসব গুণাবলি উল্লেখ করা হয়েছে, তার অন্যতম লজ্জাস্থানের হেফাজত তথা চারিত্রিক পবিত্রতা। চারিত্রিক পবিত্রতা নারী-পুরুষ সবার অমূল্য সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে ইসলাম বেশ গুরুত্বারোপ করেছে।
নারী-পুরুষ উভয়ের প্রতি আল্লাহ তাআলা চরিত্র হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘মুমিন পুরুষদের বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য শুদ্ধতর। তারা যা কিছু করে আল্লাহ সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ অবগত।’ (সুরা নুর: ৩০) অন্য এক আয়াতে আরও জোরালো নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয়ই তা অশ্লীলতা ও বিপথগামিতা।’ (বনি ইসরাইল: ৩২)
হাদিসে ব্যভিচারের ছয়টি ক্ষতির কথা বর্ণিত হয়েছে, যার তিনটি ইহকালে এবং বাকি তিনটি পরকালে প্রকাশ পাবে। হজরত হুজায়ফাতুন ইয়ামান (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে মুসলমানগণ, তোমরা ব্যভিচার থেকে বেঁচে থাকো, নিশ্চয়ই ব্যভিচারের ছয়টি ক্ষতি রয়েছে। তিনটি দুনিয়ায়, আর তিনটি পরকালে প্রকাশ পাবে। দুনিয়ায় যে তিনটি প্রকাশ পাবে, তা হলো এক. চেহারার উজ্জ্বলতা চলে যাবে, দুই. রিজিকে সংকীর্ণতা দেখা দেবে এবং তিন. আয়ু কমে যাবে।
পরকালে যে তিনটি প্রকাশ পাবে, তা হলো এক. কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি ক্রোধান্বিত হবেন, দুই. হিসাবে কড়াকড়ি করবেন এবং তিন. দীর্ঘকাল জাহান্নামে থাকতে হবে।’ (কানজুল উম্মাল: ৫/৪৬৪)
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘সে লাঞ্ছিত অবস্থায় সেখানে সদাসর্বদা থাকবে। তবে কেউ তওবা করলে, ইমান আনলে এবং সৎকর্ম করলে আল্লাহ এমন লোকজনের পাপরাশিকে পুণ্য দিয়ে বদলে দেন।’ (সুরা ফুরকান: ৬৯-৭০)