হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

জীবন বাঁচানো পুরোনো বন্ধুকে চমকে দিলেন পাইলট

গত সপ্তাহে টেক্সাসের হিউস্টন থেকে এলি রেইমোল্ড যখন ফ্লাইট ২২২৩-এ উঠলেন, তখন তিনি কল্পনাও করেননি এমন একজনের দেখা পাবেন।

চার বছর পর সরাসরি আবার ডেভিড এবং এলির দেখা হলো। আর ঠিক আট বছর আগে একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন দিনে ডেভিডকে এলি এমন একটি উপহার দিয়েছিলেন যা তাঁদের চিরকালের জন্য এক সূত্রে বেঁধে রাখবে।

সেই সময়টিতে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের ক্যাপ্টেন ডেভিড হুইটসন ‘অকিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া’ নামে এক ভয়ংকর রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কেবল যথাযথভাবে ম্যাচ করা সুস্থ রক্তই তাঁকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারত। কিন্তু দেখা যায়, তাঁর ভাইয়ের রক্তও যথাযথভাবে মেলেনি।

ঠিক তখনই বছর কয়েক আগে একটি বোন ম্যারো রেজিস্ট্রিতে নাম লেখানো এলি রেইমোল্ড সেই ফোনটি পেলেন। অপর পাশ থেকে তাঁকে বলা হলো—আপনি কি একজন মরণাপন্ন অপরিচিত মানুষকে সাহায্য করবেন?

ডেভিড ছিলেন ৪৪ বছর বয়সী, শক্ত-সামর্থ্য এবং কর্মক্ষম। কিন্তু হঠাৎ করে তাঁর শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গেল যে, তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখতে হয়েছিল।

২০১৬ সালের আগস্টে ঠান্ডা লাগার লক্ষণগুলো হঠাৎ জ্বরে পরিণত হলে ডেভিড জরুরি বিভাগে গিয়েছিলেন। তাঁর বাম পাশে ব্যথা হচ্ছিল এবং গলায় একটি লিম্ফ নোড ফুলে উঠেছিল।

একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা তাঁর ভয়ানক রোগ শনাক্ত করলেন। এটি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া এক ধরনের ব্লাড ক্যানসার যা মূলত অস্বাভাবিক রক্ত কোষ থেকে জন্মায়।

ডেভিডকে তিন দফা কেমোথেরাপি দেওয়া হলো। কিন্তু রোগটি প্রতিরোধ করা গেল না। তবে চিকিৎসকেরা বললেন, যদি সঠিক রক্তের মিল পাওয়া যায়, তাহলে ডেভিডের দূষিত রক্ত প্রতিস্থাপন সম্ভব।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন ভাইয়ের রক্তের সঙ্গেও ডেভিডের রক্ত যথাযথভাবে মেলেনি তখন চিকিৎসকেরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দাতা তালিকাগুলোর দিকে নজর দেন।

এলি তখন ছিলেন একজন কলেজছাত্রী। ২০১২ সালে একটি চ্যারিটি ইভেন্টের অংশ হিসেবে তিনি বোন ম্যারো রেজিস্ট্রিতে যোগ দিয়েছিলেন। চার বছর পরে, তিনি জানতে পারেন, তাঁর রক্ত একজনের সঙ্গে মিলে গেছে।

এলি বলেন, ‘এমনভাবে কাউকে সাহায্য করার সুযোগ পাওয়াটা ছিল সত্যিই দারুণ।’

২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর, টেক্সাসে বছরের সবচেয়ে অন্ধকার দিনটিতে ডেভিডের শরীরে এলির দেওয়া স্টেম সেল প্রবেশ করানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত ডেভিডের রক্ত পরিবর্তন হয়ে যায় এবং তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

আবারও হঠাৎ দেখা হলো দুজনের। ছবি: সিএনএন

জীবন বাঁচানো এলির সঙ্গে পরে একাধিকবার দেখাও করেছিলেন ডেভিড। তাঁরা প্রথম দেখা করেছিলেন ২০১৮ সালে। সেদিন তাঁরা একসঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ডেভিড এলিকে তাঁর বিমান ভ্রমণের বিশেষ সুবিধা দেন।

আর এবার হিউস্টনে একটি ফ্লাইটে উঠে এলি দেখেন—বিমানের স্পিকারে ডেভিড যাত্রীদের উদ্দেশে তাঁর জীবন বাঁচানোর গল্প বলছেন। এরপর তিনি গিয়ে এলিকে জড়িয়ে ধরেন। যাত্রীদের উদ্দেশে ডেভিড বলেন, ‘এলি এই গল্পের প্রকৃত নায়িকা।’

আবেগময় ওই মুহূর্তটিতে যাত্রীরা হাততালি দিয়ে ডেভিড এবং এলিকে অভিবাদন জানান। ডেভিড এ সময় বলেন, ‘প্রতি বছর এই সময় আমি শুধু কৃতজ্ঞতায় পূর্ণ হয়ে যাই।’

এলি জানান, সুযোগ পেলে একই কাজ তিনি আবারও করবেন।

মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ভেনেজুয়েলা ছাড়তে বলল স্টেট ডিপার্টমেন্ট

এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ানোর পর এবার যাচাই প্রক্রিয়াও কঠোর করল ট্রাম্প প্রশাসন

সোমালি অভিবাসীদের ‘আবর্জনা’ বললেন ট্রাম্প

আমি আগের তুলনায় এখন আরও বেশি প্রাণবন্ত—বলেই মন্ত্রিসভায় ঘুমিয়ে পড়লেন ট্রাম্প

বাইডেনের ‘অটোপেনে’ সই করা সব নথি বাতিল করছেন ট্রাম্প

গ্রিন কার্ড থেকে নাগরিকত্ব—১৯ দেশের অভিবাসীদের সব আবেদন থামিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে শ্রম আইন লঙ্ঘন: ৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা দিচ্ছে স্টারবাকস

ট্রাম্পের এমআরআই পরীক্ষার রিপোর্টে যা আছে

‘শিগগির ক্ষমতা ছাড়’—মাদুরোকে ট্রাম্পের আলটিমেটাম

আমার মাথায় সমস্যা নেই, বিশ্বাস না হলে এমআরআই রিপোর্ট দেখাব—সাংবাদিকদের ট্রাম্প