হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

ওবামা রাষ্ট্রদ্রোহী, প্রমাণ আছে: ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ছবি: সিএনএন

আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরি বারাক ওবামাকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাশিয়াগেট’ এবং ‘ভোট জালিয়াতি’ নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তিনি ওবামা এবং তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চান।

স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন। তিনি জানান, সম্প্রতি ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (ডিএনআই) তুলসী গ্যাবার্ডের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ওবামা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘ভুয়া গোয়েন্দা তথ্য তৈরি করে’ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে মিথ্যা যোগাযোগের অভিযোগ আনার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।

এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, এটি ছিল রাষ্ট্রদ্রোহ। বারাক হোসেন ওবামা ছিলেন এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা। হিলারি ক্লিনটন ছিলেন তাঁর পাশে, স্লিপি জো বাইডেনও ছিলেন এবং সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি, সাবেক ডিএনআই পরিচালক জেমস ক্ল্যাপারসহ সেই পুরো দলটাই।

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তারা একটি নির্বাচন হ্যাক করতে চেয়েছিল এবং ধরা পড়ে যায়। এরপর ২০২০ সালের নির্বাচন তারা সত্যিই হ্যাক করেছিল। আমি জানতাম, আমি সেই নির্বাচনে অনেক ভোটে জিতেছিলাম। তাই আমি আবারও লড়াই করলাম এবং বিশাল ব্যবধানে জয়ী হলাম।’

তুলসী গ্যাবার্ডের প্রতিবেদনকে ‘নিশ্চিত প্রমাণ’ হিসেবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, এতে স্পষ্ট হয়েছে ওবামা ‘রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে’ লিপ্ত ছিলেন এবং তিনি ‘একটি কূটচাল বা অভ্যুত্থান’ পরিচালনার চেষ্টা করেছিলেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘এটি আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি।’

তুলসী গ্যাবার্ডের প্রতিবেদনটিতে শতাধিক ‘ডিক্লাসিফায়েড’ নথি রয়েছে। যেগুলোতে বলা হয়েছে, ওবামার গোয়েন্দাপ্রধানেরা রাশিয়ার জড়িত না থাকার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্যকে উপেক্ষা করে মনগড়া অভিযোগ তৈরি করেছিলেন। এর ভিত্তিতেই পরে দীর্ঘমেয়াদি রাশিয়াগেট তদন্ত শুরু হয়। গ্যাবার্ড এই পুরো বিষয়কে ‘ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বছরব্যাপী অভ্যুত্থান’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

অন্যদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা এসব অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পরপরই ওবামার অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, গ্যাবার্ডের প্রতিবেদনে এমন কিছুই নেই, যা ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ব্যাপারে প্রচলিত বিশ্লেষণকে মিথ্যা প্রমাণিত করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্টের অফিসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সাধারণত আমরা এ ধরনের ভিত্তিহীন কথাবার্তার জবাব দিই না। কিন্তু এই দাবিগুলো এতটাই হাস্যকর এবং বিভ্রান্তিকর যে তার উত্তর দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। এগুলো একেবারেই উদ্ভট এবং মনোযোগ ঘোরানোর দুর্বল চেষ্টা।’

মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ভেনেজুয়েলা ছাড়তে বলল স্টেট ডিপার্টমেন্ট

এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ানোর পর এবার যাচাই প্রক্রিয়াও কঠোর করল ট্রাম্প প্রশাসন

সোমালি অভিবাসীদের ‘আবর্জনা’ বললেন ট্রাম্প

আমি আগের তুলনায় এখন আরও বেশি প্রাণবন্ত—বলেই মন্ত্রিসভায় ঘুমিয়ে পড়লেন ট্রাম্প

বাইডেনের ‘অটোপেনে’ সই করা সব নথি বাতিল করছেন ট্রাম্প

গ্রিন কার্ড থেকে নাগরিকত্ব—১৯ দেশের অভিবাসীদের সব আবেদন থামিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে শ্রম আইন লঙ্ঘন: ৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা দিচ্ছে স্টারবাকস

ট্রাম্পের এমআরআই পরীক্ষার রিপোর্টে যা আছে

‘শিগগির ক্ষমতা ছাড়’—মাদুরোকে ট্রাম্পের আলটিমেটাম

আমার মাথায় সমস্যা নেই, বিশ্বাস না হলে এমআরআই রিপোর্ট দেখাব—সাংবাদিকদের ট্রাম্প