ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে কেবল একটি বিষয়ে মিল রয়েছে—তারা কেউই দ্বি–রাষ্ট্র সমাধানে বিশ্বাসী নয়। আজ সোমবার কাতারের রাজধানী দোহায় আন্তর্জাতিক এক ফোরামে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান এ কথা বলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে আমিরাব্দুল্লাহিয়ান ফিলিস্তিনের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য ইরানের গণভোটের প্রস্তাবটির কথা আবারও উল্লেখ করেন। ইরানের প্রস্তাব অনুসারে, এ গণভোটে শুধু ১৯৪৮ সালের আগে যারা ফিলিস্তিনে বসবাস করতেন তাঁদের বংশধরেরাই ভোট দিতে পারবেন।
বেশির ভাগ দেশই ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামের দুটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সমর্থন করে। ইসরায়েলি নীতির সমালোচকেরা বলেন, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডগুলো এ দ্বি–রাষ্ট্র সমাধানকে অসম্ভব করে তোলার উদ্দেশ্যেই করা হয়।
ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংকট সমাধানে অনেক আগে থেকেই দুটি পৃথক রাষ্ট্র তৈরির কথা আলোচিত হয়ে আসছে। তবে, ইরান কখনোই এ সমাধানের সমর্থক ছিল না। এর আগেও ২০১১ সালে ইরানের তৎকালীন নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি দ্বি–রাষ্ট্র প্রস্তাব নাকচ করেছিলেন।
কাতার ভিত্তিক সম্প্রচার মাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১১ সালের অক্টোবরে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছিলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে দ্বিখণ্ডিত করার যেকোনো পরিকল্পনা অগ্রহণযোগ্য হবে। দুই রাষ্ট্র সমাধানে ফিলিস্তিন কেবল সাময়িকভাবে ‘স্বাধীন অঞ্চল’ হিসেবেই টিকে থাকতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।
খামেনি এক ভাষণে বলেন, ‘আমাদের দাবি হলো, সম্পূর্ণ ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের স্বাধীনতা, কেবল ফিলিস্তিনের কিছু অংশ মুক্ত করা নয়। জর্ডান নদী থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত পুরো অঞ্চলটিই ফিলিস্তিন।’ ফিলিস্তিনিদের অবরুদ্ধ পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখা উচিত নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।