গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের কারণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ও সামরিক নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এই শঙ্কায় গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিন মন্ত্রী ও বেশ কয়েকজন আইনবিশেষজ্ঞকে জরুরি ভিত্তিতে ডাকা হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি টেলিভিশনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বৈঠকে কীভাবে সম্ভাব্য পরোয়ানাগুলো ঠেকানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোনো সূত্রের উদ্ধৃতি না দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের পরোয়ানা জারি হতে পারে—এমন বার্তা পাওয়ার পরই এই বৈঠক ডাকা হয়।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের কার্যালয় থেকে সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েলকে এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আইডিএফ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে—এমন আশঙ্কা নিয়েও এ বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে বৈঠকে নেতানিয়াহু বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং তাঁদের সহায়তা চান। টেলিভিশন প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবারের আলোচনায় কাটজ, বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন এবং কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন দারমার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা থেকে বিরত রাখার প্রয়াস হিসেবে আন্তর্জাতিক আদালত ও প্রভাবশালী কূটনীতিকদের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের আশঙ্কা, গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে মানবিক সংকটের কারণে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হতে পারে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগকারী দেশগুলো এবং চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে হামাসের হাতে ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের একটি প্রতিনিধিদল সংগঠনটির নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিসিতে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করে। হামাসের বিরুদ্ধে অপহরণ, যৌন সহিংসতা, নির্যাতন এবং অন্যান্য গুরুতর অভিযোগ আনা হয়।
করিম খান আরও বলেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের কর্মকাণ্ডের তদন্ত শুরু করতে আদালতের কৌঁসুলিদের সঙ্গে কাজ করা তাঁর কর্তব্য বলে মনে করেন।