হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে সদলবলে গাজা অভিমুখে গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও গেম অব থ্রোনস অভিনেতা লিয়াম কানিংহাম। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে দলবল নিয়ে উপত্যকাটির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ম্যাডলিন নামের এক জাহাজে করে স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সিসিলি দ্বীপ থেকে যাত্রা শুরু করেন তিনি। তাঁর যাত্রায় সঙ্গী হয়েছেন জনপ্রিয় টিভি সিরিজ গেম অব থ্রোনস-এর অভিনেতা লিয়াম কানিংহামসহ ১১ জন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, এক বিবৃতিতে ২২ বছর বয়সী থুনবার্গ বলেছেন, ‘বিশ্ব মূক দর্শক হয়ে থাকতে পারে না। আমরা যে নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা দেখছি, তা মারাত্মক। ২০ লাখ মানুষকে পরিকল্পিতভাবে অনাহারে রাখা হচ্ছে। এম পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার লড়াইয়ে শামিল হওয়া প্রতিটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।’

কোনো ধরনের বাধা না এলে সাত দিনের মধ্যে গাজায় পৌঁছানোর আশা করছেন তাঁরা। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, গাজা উপকূল কঠোরভাবে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন। অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, তারা সমুদ্রপথে প্রবেশকারীদের ওপর কঠোর আচরণ করে থাকে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে গাজা অবরোধ ভাঙার চেষ্টায় ‘মাভি মারমারা’ জাহাজে ইসরায়েলি কমান্ডো হানায় ৯ জন ফিলিস্তিনপন্থি কর্মী নিহত হয়েছিলেন, আহত হয়েছিলেন অনেকে। আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা সেই ঘটনায় সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের কথা বললেও পরে তারা মামলা এগিয়ে নেওয়া থেকে বিরত ছিলেন।

গাজা অভিমুখে জাহাজটি পরিচালনা করছে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ নামের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, যারা এর আগেও মে মাসের শুরুর দিকে গাজামুখী একটি জাহাজ পাঠিয়েছিল। ‘কনসায়েন্স’ নামের সেই জাহাজটি মাল্টার উপকূলে আন্তর্জাতিক পানিসীমায় পৌঁছালে দুটি সন্দেহজনক ড্রোনের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংগঠনটির দাবি, ওই হামলার জন্য ইসরায়েল দায়ী।

এই সর্বশেষ অভিযানের বিষয়ে ফ্লোটিলার অন্যতম কর্মী থিয়াগো আভিলা বলেন, ‘আমরা কেবল সমুদ্রপথে অবরোধ ভাঙতে চাই না, বরং স্থলপথেও অবরোধ ভাঙার জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ হিসেবে কাজ করছি।’ ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ গাজায় ইসরায়েলের অভিযানকে গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে ইসরায়েল বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসান বলেন, ‘মানবিক অবরোধ এবং চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, ইসরায়েলকে যে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করা এবং আন্তর্জাতিক গণসচেতনতা সৃষ্টি করাই এই অভিযানের লক্ষ্য।’

বিশ্লেষকদের মতে, এই সমুদ্রপথে বেসামরিক কর্মীদের এমন ‘প্রতীকী প্রতিরোধ’ আন্তর্জাতিক মনোযোগ কাড়বে এবং গাজার পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি করতে পারে। তবে এ অভিযানের পরিণতি কী—তা নির্ভর করছে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার ওপর।

‘সর্বত্র ভূত দেখে’ যত্রতত্র ‘বোমা ফেলছেন বিবি’, লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধান—পোপ

দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্টের কাছে নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা

গাজার পুলিশ বাহিনী গঠনে হাজারো ফিলিস্তিনিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মিসর

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে, নিহত ৭০ হাজার ছাড়াল

সংঘবদ্ধ নির্যাতন ‘কার্যত’ ইসরায়েলের রাষ্ট্রনীতি, কুকুর হামলা, যৌন নির্যাতনের চিত্র জাতিসংঘের প্রতিবেদনে

আত্মসমর্পণ করতে চাওয়ার পরও দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করল ইসরায়েল

গাজা পুনর্গঠনে সময় লাগবে কয়েক দশক, প্রয়োজন অন্তত ৭০ বিলিয়ন ডলার

পশ্চিম তীর দখলে মরিয়া ইসরায়েল, ১০ মাসে বাস্তুচ্যুত ৩২ হাজার

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে: গবেষণা