হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

ইরানের দ্বিতীয় পবিত্রতম শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাইসির মরদেহ

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সহ তাঁর সঙ্গে নিহত অন্যদের কফিন স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরের পর পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুওমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই শহরটিকে ইরানের দ্বিতীয় পবিত্রতম শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশটির সবচেয়ে পবিত্রতম শহর হিসেবে বিবেচিত হয় মাশহাদ। এই মাশহাদেই আবার জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রয়াত প্রেসিডেন্ট রাইসি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অংশ হিসেবে কুওম শহরের জামকারান মসজিদ এবং মাসউমে দরগায় নিহতদের মরদেহ রাখা হবে কিছু সময়ের জন্য।

ধর্মীয় গুরুত্ব ছাড়াও কুওম শহরের অন্য তাৎপর্য হলো—এই শহরেই ধর্মীয় বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন প্রয়াত রাইসি। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কুওম শহরের পবিত্র স্থানগুলো প্রদক্ষিণ শেষে নিহতদের মরদেহ দেশটির রাজধানী তেহরানের গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে নিয়ে আসা হবে।

গত রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সহ রাষ্ট্রের আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তি। পরে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় ওই প্রদেশের রাজধানী শহর তাবরিজে। আজ মঙ্গলবার সেখানেই শুরু হয়েছে নিহতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া কয়েক দিন ধরে চলতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি সহ একাধিক গণমাধ্যম।

বিদেশি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাইসি সহ তাঁর নিহত সঙ্গীদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে তাবরিজ শহরে জড়ো হয়েছে ইরানের অসংখ্য মানুষ। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাবরিজ শহরে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছিল। গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ছবিতে দেখা গেছে, নিহতদের মরদেহ রাখা হয়েছে ফুল দিয়ে সাজানো একটি ট্রাকের ওপর। আর ওই ট্রাক ঘিরে আছে হাজারো মানুষ। মরদেহবাহী ট্রাক এবং কফিনগুলোকে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। কিছু ছবিতে মরদেহের জন্য অপেক্ষারত মানুষদের রাস্তার দুই পাশে অবস্থান করতেও দেখা গেছে।

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উপলক্ষে তাবরিজে উপস্থিত হয়েছেন ইরান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তিরাও। তাবরিজ থেকে ইরানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত একটি টেলিভিশনের লাইভ সম্প্রচারে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি বলেছেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা যদি পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে সংঘটিত হতো তবে এর ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যেতো। কিন্তু সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি নেতৃত্বে ইরান এই ঘটনাটি সহজেই অতিক্রম করবে।’

পুরো ইরানজুড়েই এদিন অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় এবং স্থানের উল্লেখ করে বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবেও এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে প্রতিরক্ষা জোট শক্তিশালী করছে গ্রিস ও সাইপ্রাস

যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইউরোপের সঙ্গে ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ আছে ইরান: পেজেশকিয়ান

নামাজরত ফিলিস্তিনির ওপর গাড়ি চালিয়ে দিলেন ইসরায়েলি সেনা

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

৭ অক্টোবরের দায় এড়াতে ফন্দি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু: সাবেক মুখপাত্র

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত

গাজায় ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪১১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ৮৭৫ বার