অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে। এই দুই দিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ওই এলাকায় অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১১০ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি হামলার জবাবে গাজা থেকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলের উদ্দেশে দেড় শতাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলায় অন্তত ১৪ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্টের সদস্য এবং একজন শিশু। এই ঘটনায় অন্তত আরও ১১০ জন ফিলিস্তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বসতি এই অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়। ইসরায়েল এবং মিসরের মধ্যে থাকা এই সংকীর্ণ উপকূলীয় উপত্যকায় মানব চলাচল এবং মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে। যা অনেকটা অবরোধেরই শামিল।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক গাজায় হামলার জবাবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা স্থানীয় সময় আজ শনিবার ইসরায়েলি শহরগুলো লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছে। ফিলিস্তিনেরে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি এই অভিযান উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ১ বছর স্থিতাবস্থা ভঙ্গ করেছে। এই অভিযানে গত শুক্রবার গাজায় বিমান হামলায় ইসলামি জিহাদ মুভমেন্টের এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করার দাবি করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার ফলে জ্বালানি সংকটে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্টের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে, অন্ধকারে ঢেকে গেছে গোটা গাজা উপত্যকা। ওই বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্টের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জ্বালানি সংকটের কারণে প্ল্যান্টের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়টি আমলে নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইসরায়েল এবং গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন গাজা এবং এর আশপাশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলিকে অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। ইইউ সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম রাখার আহ্বান জানিয়েছে যাতে আরও ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি এবং আরও হতাহতের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।’