হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলজুড়ে বাজল সতর্ক সংকেত

ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলের তেলআবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হামলায় কেউ নিহত না হলেও আহত হয়েছেন ১৪ জন। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিলিস্তিন-২ নামের হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। হুতিদের ছোড়া মিসাইলগুলোকে শনাক্ত করে ফেলে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। শহরজুড়ে বাজতে শুরু করে সতর্কতা সাইরেন। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নগরবাসীদের শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। নিরাপদ এলাকায় যাওয়ার সময় আহত হয় ওই ১৪ জন।

যখন সাইরেন বাজতে শুরু করে তখন ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে এক বৈঠকে ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সেসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে সন্ত্রাসবাদের দাম হুতিরা দিচ্ছে। এবং এই মূল্য পরিশোধ চলতেই থাকবে।’

তবে, এক বিবৃতিতে সবগুলো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি করেছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী-আইএএফ। এর আগে, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি এই অঞ্চলকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল হুতি বিদ্রোহীরা। এর আগে বুধবার স্থানীয় সময় রাতে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় আবারও হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে টানা পাঁচ দিনের মতো ইয়েমেনি ভূখণ্ডে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। হুতি নিয়ন্ত্রিত সম্প্রচারমাধ্যম আল-মাসিরাহ টিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বেশ সরব প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে হুতিরা। গত ১ মার্চ গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করার পর থেকেই আবারও সরব হয়ে উঠেছে হুতিরা। আর তারপরই হুতিদের বিরুদ্ধে ঘোষণা দিয়ে হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত কয়েক দিন ধরে পাল্টা-পাল্টি হামলায় আবারও উত্তপ্ত লোহিত সাগর।

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ মাসে তিন শতাধিক বাণিজ্য জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। হুতিদের হামলা শুরু হওয়ার আগে লোহিত সাগর দিয়ে বছরে ২৫ হাজারের বেশি জাহাজ যাতায়াত করত। হামলা শুরুর পর এই পথে জাহাজ চলাচল করে মাত্র ১০ হাজার বা তারও কম। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ৭৫ শতাংশ জাহাজই এখন এই পথ এড়িয়ে চলে। বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছাতে জাহাজগুলোকে আফ্রিকা ঘুরে যেতে হয়, যে কারণে আগের তুলনায় ১০ দিন বেশি যাত্রা করতে হয় জাহাজগুলোকে। প্রতি ট্রিপে অতিরিক্ত ১০ লাখ ডলার খরচ বেড়েছে।

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন

পশ্চিম তীরে এক বছরে ১৫০০ বাড়ি ভেঙেছে ইসরায়েল, ভাঙবে আরও ২৫টি

বৃষ্টি, বন্যা আর আবর্জনা: গাজাবাসীর অন্তহীন শীতের রাতের দুঃসহ বেদনা