ইসরায়েলের হামলায় ইরানে আরও একজন পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে ইরানে পরমাণুবিজ্ঞানী নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত ওই বিজ্ঞানীর নাম ইসার তাবাতাবাই গোমশেহ। তিনি তেহরানের শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহের শেষের দিকে নিজ বাড়িতে স্ত্রী মনসুরেহ হাজিসালেমসহ নিহত হয়েছেন ইসার তাবাতাবাইয়ের। এর আগে আরও নয়জন পরমাণুবিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল ইরান। এই বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন ফেরেদুন আব্বাসি, যিনি ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার (Atomic Energy Organisation of Iran) সাবেক প্রধান। মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি, তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট। আব্দুল হামিদ মিনুচেহর, আহমদ রেজা জুলফাগারি এবং আমির হোসেইন ফেঘি—তারা সবাই তেহরানের শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক স্টাফ ছিলেন।
এ ছাড়া, আকবর মোতাল্লেবিজাদেহ, আলী বাকাই কারিমি, মনসুর আসগারি এবং সাঈদ বোর্জি নামের কয়েকজন পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, ইসরায়েল ‘অপারেশন নার্নিয়া’ (Operation Narnia) নামে একটি অভিযানের আওতায় নয়জন ইরানি পরমাণুবিজ্ঞানীকে ‘একযোগে’ হত্যা করেছে। এর পরপরই দশম ইরানি পরমাণুবিজ্ঞানীকেও হত্যা করেছে তারা। ইসরায়েলি মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অভিযান ছিল অত্যন্ত গোপনীয়। ধারণা করা হচ্ছে, এতে ‘গোপন অস্ত্র’ ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিজ্ঞানীরা তাঁদের বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় নিহত হয়েছেন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায়, এই পরমাণুবিজ্ঞানীদের অবস্থান সম্পর্কে ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল। ইসরায়েলের উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের নির্মূল করা।