হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

লেবাননে থাকা ফিলিস্তিনিরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, পাশে হিজবুল্লাহ

লেবাননে বসবাস করা কয়েকটি ফিলিস্তিনি উপদল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় আরেকটি ফ্রন্ট খুলতে আগ্রহী। যোদ্ধা এবং বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা। 

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের শরণার্থীশিবির বুর্জ আল-বরাজনেহতে বসবাস করেন ফিলিস্তিনি পার্টি ফাতাহ-এর সদস্য আহমেদ হাবেত। আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল যেখানেই যুদ্ধ করতে চায়, সেখানেই যুদ্ধ হবে।’ 

হাবেত আরও বলেন, ‘আমি আমার মাতৃভূমির রক্ত। আমি আমার মাতৃভূমির জন্যই বেঁচে আছি। আমি ভবিষ্যতের জন্য বাঁচি না।’ 

ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধ সংঘটিত হোক—এমনটাই চায় লেবাননে থাকা ফিলিস্তিনি উপদলগুলো। এই যুদ্ধ লেবানন ও এই অঞ্চলকে একটি বিপর্যয়মূলক সংঘাতের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। 

লেবাননে হামাস শাখার কর্মকর্তা আহমেদ আবেদের মনে করেন, ইসরায়েল যদি গাজা উপত্যকায় আক্রমণ বাড়ায় তবে হিজবুল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণও চালাতে পারে। 

তিনি বলেন, ‘হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা ফিলিস্তিনে হামাসের নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করছে এবং তারা সঠিক সময়ে হস্তক্ষেপ করবে।’ 

আটলান্টিক কাউন্সিলের বৈরুতভিত্তিক বিশেষজ্ঞ নিকোলাস ব্লানফোর্ডের মতে, হিজবুল্লাহ যদি চায় তবে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি অত্যাধুনিক আক্রমণ শুরু করতে সক্ষম। 

তিনি জানান, ইসরায়েলে হামাস যে হামলাটি করেছে তা হিজবুল্লাহর দ্বারা পরিচালিত যে কোনো একক অভিযানের চেয়ে অনেক বড়। তবে হামাস যে কৌশলগুলো ব্যবহার করেছে সেগুলো হিজবুল্লাহর গাইড বই অনুসরণ করেই। 

ব্লানফোর্ড বলেন, ‘হিজবুল্লাহ অন্তত ২০০৭ সাল থেকে এই ধরনের সীমান্ত লঙ্ঘন মিশনের জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।’ 

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষের ভবিষ্যদ্বাণী না করলেও এ ধরনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ব্লানফোর্ড। 

সোমবার কিছু ফিলিস্তিনি যোদ্ধা লেবানন থেকে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে বলেও জানা গেছে। ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, তারা ওই যোদ্ধাদের হত্যা করেছে। তবে হিজবুল্লাহ অভিযানে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। 

এর আগে শনিবার রকেট সহ ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে হামাস যোদ্ধারা একটি আকস্মিক হামলা পরিচালনা করে। এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইসরায়েলি সেনা ও মানুষের প্রাণহানি ঘটে। প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক হামলা চালায় ইসরায়েলও। আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৭০০-এর বেশি ইসরায়েলি ও ৫০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাকে গত ১৬ বছর ধরে অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস সেখানে। মানবাধিকার কর্মীরা প্রায় সময়ই এই অঞ্চলটিকে বিশ্বের বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। 

সোমবার ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ জল, খাবার এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

বৃষ্টি, বন্যা আর আবর্জনা: গাজাবাসীর অন্তহীন শীতের রাতের দুঃসহ বেদনা

গাজায় হামলা চালিয়ে হামাসের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং এক দোভাষী নিহত

এবার ডিজেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, বাংলাদেশিসহ ১৮ ক্রু আটক

ইরানে দুইবার সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ওয়াশিংটন: মার্কিন দূত

জানুয়ারিতেই হতে পারে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, সেনা প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া

তীব্র শীতে গাজায় প্রাণ সংহারকারীর ভূমিকায় ‘বায়রন’, নিহত অন্তত ১৪

ইরানে নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদি গ্রেপ্তার

এবার গাজাবাসীর নতুন হুমকি ঘূর্ণিঝড় বায়রন, ঝুঁকিতে সাড়ে ৮ লাখ মানুষ

ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের শর্তে গাজায় এক দশকের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাসের