হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

১০ বিলিয়ন ডলারের ঋণের সন্ধানে তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরব, কিন্তু কেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে কিং আব্দুল্লাহ ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার। ছবি: এএফপি

সৌদি আরব ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ১০ বিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম ঋণ নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে। এটি দেশটির অর্থনৈতিক রূপান্তর পরিকল্পনার তহবিল সংগ্রহের অংশ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ঋণের বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সৌদি আরব মূলত বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করে আসছে। বন্ড খোলাবাজারে লেনদেনযোগ্য হলেও সার্বভৌম ঋণ নয় এবং এর শর্তাবলি ব্যক্তিগত হতে পারে। দেশটি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে তেলনির্ভর অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করার জন্য ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করছে। তবে বড় প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগের আগ্রহ কম হওয়ার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে ভবিষ্যতের নগরী নিওম।

সৌদি অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ টানার ক্ষেত্রে জ্বালানির দামও একটি সমস্যা। আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম বুধবার ৬৬ দশমিক ২২ ডলারে ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। দামের পতনের পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড তেলের উৎপাদন এবং সৌদি আরবের নেতৃত্বে ওপেক প্লাস জোটের তেল উৎপাদন বৃদ্ধি। জোটের এই উদ্যোগে তাদের ‘ধোঁকাবাজ’ দেশগুলোকে শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য রয়েছে, যারা নিজেদের কোটা অতিক্রম করে তেল উৎপাদন করেছে। উৎপাদন বৃদ্ধি সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে।

তারপরও সৌদি আরবের বড় প্রকল্পের জন্য তহবিল কমতে শুরু করেছে। নিওম নগরী দেড় ট্রিলিয়ন ডলারের প্রকল্প হিসেবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এটি নিউইয়র্ক সিটির চেয়ে ৩৩ গুণ বড় এবং এতে ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘দ্য লাইন’ নামে একটি কাঠামো অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যেখানে শহর গড়ে তোলা হবে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ লাখ মানুষ শহরে বসবাস করবে; কিন্তু এখন আশা করা হচ্ছে ৩ লাখের কম মানুষ বসবাস করবে এবং পুরো দৈর্ঘ্যের মধ্যে মাত্র ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার অংশ ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

সৌদি আরবের ব্যয় সংকোচনের আরও ইঙ্গিত রয়েছে। বিদেশি পরামর্শক সংস্থাগুলো হায়ারিং কমাচ্ছে। দেশটি দারিদ্র্যসীমার মধ্যে না থাকলেও পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের গভর্নর ইয়াসির আল-রুমায়্যান বলছেন, এখন তারা দেশীয় বাজারে আরও মনোযোগ দেবে। বাজেট ঘাটতি বাড়ছে এবং ২০২৫ সালে জিডিপির ৫ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঘাটতি পূরণের জন্য সৌদি আরব ঋণের ওপর নির্ভর করছে এবং বিনিয়োগকারীরা এতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। দেশটির মোট ঋণ জিডিপির ৩০ শতাংশ, যা অন্যান্য জি২০ অর্থনীতির তুলনায় কম। বিশ্ববাজারে ঋণের খরচ প্রায়ই ইউএস ট্রেজারি রিটার্নের সঙ্গে তুলনা করা হয়। গালফ রাষ্ট্রগুলোর জন্য সৌদি আরবের ঋণের খরচ কমেছে। ফলে আরও ঋণ নেওয়া এখন কম ব্যয়সাপেক্ষ।

আরও খবর পড়ুন:

গাজায় হামাসবিরোধী ইসরায়েলি প্রক্সি গোষ্ঠীর নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত, কে তিনি

গাজায় যুদ্ধবিরতি খুব ভালোভাবে চলছে, দ্বিতীয় ধাপ শুরু শিগগির: ট্রাম্প

মার্কিন মধ্যস্থতায় ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবার সরাসরি আলোচনায় লেবানন-ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের নেলসন ম্যান্ডেলা: বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে সোচ্চার দুই শতাধিক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

‘সর্বত্র ভূত দেখে’ যত্রতত্র ‘বোমা ফেলছেন বিবি’, লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধান—পোপ

দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্টের কাছে নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা

গাজার পুলিশ বাহিনী গঠনে হাজারো ফিলিস্তিনিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মিসর

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে, নিহত ৭০ হাজার ছাড়াল

সংঘবদ্ধ নির্যাতন ‘কার্যত’ ইসরায়েলের রাষ্ট্রনীতি, কুকুর হামলা, যৌন নির্যাতনের চিত্র জাতিসংঘের প্রতিবেদনে