বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ এবং সীমান্ত অঞ্চলের সংবেদনশীল এলাকাগুলোর ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে এক চীনা নাগরিককে আটক হয়েছে। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বাহরাইচ জেলার রূপাইডিহা চেকপোস্ট থেকে ৪৯ বছর বয়সী ওই চীনা নাগরিককে আটক করে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)।
এসএসবি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটক চীনা নাগরিকের নাম লিউ কুনজিং। তিনি চীনের হুনান প্রদেশের বাসিন্দা। তাঁর কাছ থেকে পাকিস্তানি, চীনা এবং নেপালি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে।
এসএসবির ৪২তম ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট গঙ্গা সিং উদাবত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই চীনা নাগরিক নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন এবং একটি সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকার ভিডিও করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কুনজিংয়ের কাছে ভারতে প্রবেশের জন্য কোনো বৈধ নথি ছিল না। তাঁর কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে একটিতে ভারতীয় ভূখণ্ডের বেশ কয়েকটি সংবেদনশীল জায়গার ভিডিও পাওয়া গেছে।
এ ছাড়াও তাঁর কাছে নেপালের একটি মানচিত্র পাওয়া যায়, সেটি সম্পূর্ণ ইংরেজিতে লেখা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কুনজিং ইশারায় জানান, তিনি হিন্দি বা ইংরেজি কোনো ভাষাই জানেন না। এরপর দোভাষীর মাধ্যমে এসএসবি, পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই চীনা নাগরিক এর আগে পাকিস্তানেও ভ্রমণ করেছেন। যদিও সেই দেশের বৈধ ভিসা তাঁর ছিল।
কমান্ড্যান্ট উদাবত বলেন, বৈধ নথি ছাড়া ভারতে প্রবেশ, সংবেদনশীল জায়গার ভিডিও করা এবং ইংরেজিতে ম্যাপ থাকা সত্ত্বেও জিজ্ঞাসাবাদের সময় ‘ইংরেজি না জানার ভান’ করার কারণে তাঁকে সন্দেহভাজন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আইনি পদক্ষেপ ও প্রবেশপথের তথ্য
প্রাথমিক তদন্তে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি জানতে পারে, কুনজিং ১৫ নভেম্বর একটি নেপালি পর্যটন ভিসায় চীন থেকে নেপালে প্রবেশ করেন। এরপর ২২ নভেম্বর তিনি নেপালগঞ্জ শহরে পৌঁছান এবং গত ২৪ নভেম্বর রূপাইডিহা সীমান্ত দিয়ে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। সোমবার, অর্থাৎ গ্রেপ্তারের দিন, ২৫ নভেম্বর তিনি ধরা পড়েন।
এসএসবি কমান্ড্যান্ট উদাবত নিশ্চিত করেছেন যে আটক চীনা নাগরিককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রূপাইডিহা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।