হোম > বিশ্ব > ভারত

রাহুল গান্ধীর কারাদণ্ড: বিরোধীদের ‘সিস্টেম্যাটিক’ ঐক্য চায় কংগ্রেস

ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দুই বছরের কারাদণ্ড ও লোকসভার সদস্যপদ হারানোর প্রতিবাদে দেশব্যাপী ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ আন্দোলনের পরিকল্পনা করছে দেশটির অন্যতম প্রাচীন দল কংগ্রেস। এই আন্দোলনে বিরোধীদের ‘সিস্টেম্যাটিক’ ঐক্য চায় দলটি। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার কংগ্রেসের প্রধান মল্লিকার্জুন খারগে, কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরমসহ শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতিতে এক জরুরি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) একটি মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন গুজরাটের সুরাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) এইচ এইচ ভার্মা। কারাদণ্ড ঘোষণার পর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাহুলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য তাঁকে ৩০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময় পর্যন্ত জামিনে থাকবেন রাহুল। 

এ রায় ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার রাহুল গান্ধীকে দেশটির লোকসভা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। লোকসভা সচিবালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় সংবিধানের ১০২ (১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হলো। মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দিন অর্থাৎ ২৩ মার্চ, ২০২৩ থেকে তিনি আর এমপি নন। 

রাহুল গান্ধীকে লোকসভা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার পর গতকাল রাতেই জরুরি বৈঠক ডাকে কংগ্রেস। দলটির সিনিয়র নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘আমরা রাহুল গান্ধীর ইস্যুতে রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছি। অভিষেক মনু সিংভি দলের সদস্যদের আইনি কৌশল সম্পর্কে অবহিত করেছেন। আমরা আগামী দিনে সারা দেশে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছি।’ 

জয়রাম রমেশ আরও বলেছেন, ‘রাহুল গান্ধী ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিরোধীদের প্রতি “সিস্টেম্যাটিক” ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়েছে। আমাদের এখন বিরোধী ঐক্যের বিষয়টিকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এগিয়ে নেওয়া উচিত।’

কংগ্রেসের সভাপতি প্রতিদিন পার্লামেন্টে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করছেন বলেও জানান তিনি। রমেশ বলেন, এখন এই সমন্বয়ের কাজ পার্লামেন্টের বাইরেও করতে হবে।

এর আগে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা এবং আঞ্চলিক বিরোধী দলগুলোর নেতা যেমন—মমতা ব্যানার্জি, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এম কে স্ট্যালিন, উদ্ধব ঠাকরে, কেসিআর, অখিলেশ যাদব রাহুল গান্ধীকে সমর্থন করেছেন এবং ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের ‘স্বৈরাচারী’ আচরণের সমালোচনা করেছেন। 

গতকালের জরুরি বৈঠকে মল্লিকার্জুন খারগে ও সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র, কেসি ভানুগোপাল, জয়রাম রমেশ, রাজীব শুক্লা, তারিক আনোয়ার, সিনিয়র নেতা আনন্দ শর্মা, অম্বিকা সোনি, মুকুল ওয়াসনিক, সালমান খুরশিদ, পবন কুমার বানসাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকের কোলারে একটি সমাবেশে বক্তৃতা করার সময় রাহুল গান্ধী অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘সব চোরের ডাক নাম কীভাবে মোদি হয়!’ তাঁর এই মন্তব্যের পর বিজেপির বিধায়ক ও গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পেহেলগাম হামলায় এনআইএর চার্জশিট, ৫ ব্যক্তির সঙ্গে এলটিই-টিআরএফও অভিযুক্ত

হিমালয়ে হারিয়ে যাওয়া পারমাণবিক যন্ত্র ৬০ বছর পরও গঙ্গার জন্য ঝুঁকি

আরও ৩০০ কোটি রুপির ইসরায়েলি ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন কিনছে ভারত

দিল্লিতে ঘন ধোঁয়াশায় ৪০ ফ্লাইট বাতিল, বিলম্বিত ৩০০

ভারতে বসে বাংলাদেশে সন্ত্রাস— ঢাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান দিল্লির

বায়ুদূষণ সূচকে সর্বোচ্চ সীমায় দিল্লি, জনজীবন বিপর্যস্ত

পাকিস্তানের গুপ্তচর সন্দেহে আসামে ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

অধৈর্য হয়ে পুতিন-এরদোয়ানের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দরজা ঠেলে ঢুকে পড়লেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

এবার ভারতের ওপর মেক্সিকোর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ, বিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা

ভারতের নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ড: মালিক ভ্রাতৃদ্বয় থাইল্যান্ডে আটক