দক্ষিণ আসামের শিলচরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি) ক্যাম্পাসে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে ভয়াবহ সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা তাঁদের হোস্টেল থেকে অবিলম্বে বহিষ্কৃত হবেন এবং তাঁদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম দুই সেমিস্টারের জন্য স্থগিত থাকবে। ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই বহিষ্কারাদেশ কার্যকর থাকবে।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর এনআইটি শিলচরের রেজিস্ট্রার এই বহিষ্কারাদেশ জারি করেন। আদেশে বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হচ্ছে। এনআইটির কর্মকর্তারা গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস এবং ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ স্কলারশিপের অধীনে এখানে পড়াশোনা করছিলেন।
এনআইটির পরিচালক দিলীপ কুমার বৈদ্য বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে যে তারা ক্যাম্পাসে সংঘটিত সহিংসতায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।’ তিনি আরও বলেন, এই শিক্ষার্থীদের দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ৮ সেপ্টেম্বর রাতে, যখন তৃতীয় বর্ষের একদল শিক্ষার্থী এনআইটি হোস্টেলের ভেতরে শেষ বর্ষের একদল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালান। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হামলাকারীরা রড, ছুরি এবং স্ক্রু ড্রাইভারের মতো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা এই হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
আহতদের দ্রুত শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের কল্যাণ বিভাগের ডিন এস এস ধর জানান, ঘটনার তদন্ত এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা উভয়ই সন্তোষজনক।